1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অন্যের জীবন বাঁচাতে সেমিফাইনাল মিস

৯ জুলাই ২০২১

স্টেম সেল দান করে আরেকজনের জীবন রক্ষা করার প্রতিজ্ঞায় ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২০-এর ইংল্যান্ড বনাম ডেনমার্কের খেলা দেখতে যাননি এক ব্রিটিশ ফুটবল ভক্ত৷ 

https://p.dw.com/p/3wH6n
Euro 2020 - Fans gather for England v Denmark
ছবি: ANDREW BOYERS/Reuters

ওয়েম্বলেতে ইউরো ২০২০-এর ওই সেমিফাইনালে যখন হাজার হাজার দর্শক ইংল্যান্ডে ও ডেনমার্করন লড়াই উপভোগ করছিল, ২৪ বছর বয়সি স্যাম অ্যাস্টলে তখন লন্ডনের এক হাসপাতালের বেডে শুয়ে স্টেম সেল দান করছিলেন৷ 

সেমিফাইনালের টিকিট পাওয়া এমনিতেই দুষ্কর৷ বান্ধবী বেথ হিল এক অনলাইন প্রতিযোগিতায় জিতেছিলেন দুটি টিকিট৷ 

কিন্তু জীবন বাঁচানোর প্রতিজ্ঞা যে রাখতে হবে! আর তাই সেমিফাইনাল দেখার চেয়ে স্টেম সেল ডোনেশনেই তৃপ্তি খুঁজে নিলেন এ যুবক৷  

স্টেম সেল দানের বিষয়টিকে কতটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন অ্যাস্টলে এ বিষয়ে বলতে গিয়ে তার বান্ধবী বেথ হিল সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘সে বলছিল আমি খেলা দেখতে যাচ্ছি না। যাওয়ার কোনো উপায় নেই৷ কারো জীবন বাঁচাতে সাহায্য করার সময় এটাই৷’’

Euro 2020 - Fans gather for England v Denmark
ছবি: PHIL NOBLE/REUTERS

তবে স্টেম সেল দেওয়ার জন্য অপারেশন থিয়েটারে থাকা অ্যাস্টলে ভুলেননি নিজ দেশের ঐতিহাসিক সেমিফাইনালের কথা৷  ডাক্তাররা জানান, অপারেশনের পর  ‘ফুটবল কামিং হোম’ গানটি গাইছিলেন অ্যাস্টলে৷  ১৯৯৬ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সময় গানটি বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল৷

এমন ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে৷ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরবদের তালিকায় আছেন অ্যান্থনি নোলান ট্রাস্ট নামের এক দাতব্য সংস্থা৷ এ সংস্থাটি অ্যাস্টলেকে স্টেম সেলের রোগীর সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয়৷ তাছাড়া ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা স্ট্রাইকার গ্যারি লিনেকারও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন অ্যাস্টলের৷    

এদিকে অ্যাস্টলে ও তার বান্ধবী হিলকে সুখবর দিয়েছে ইউরো ২০২০-এর স্পন্সর কোম্পানি ভিভো৷ স্মার্টফোন কোম্পানি এ জুটিকে তাদের অতিথি হিসেবে ইউরো-২০২০ ফাইনাল ম্যাচ দেখতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে৷  

আরআর/এসিবি (এএফপি)