1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
অপরাধভারত

আনোয়ারুল খুনে গ্রেপ্তার আরো এক, পাওয়া গেলো ভয়ংকর তথ্য

২৪ মে ২০২৪

বাংলাদেশের এমপি আনোয়ারুলের খুন নিয়ে নতুন ও ভয়ংকর তথ্য পেল তদন্তকারী সিআইডি। গ্রেপ্তার আরো একজন।

https://p.dw.com/p/4gDZ8
কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীব আবাসন। এখানে একটি ফ্ল্যাটে বাংলাদেশের এমপি-কে খুন করা হয় বলে সিআইডি জানিয়েছে।
এই আবাসনের ফ্ল্যাটেই আনোয়ারুল খুন হন বলে সিআইডি জানিয়েছে। ছবি: Satyajit Shaw/DW

আনোয়ারুলকে খুনের সন্দেহে জিহাদ হাওলাদার নামে এক কসাইকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। জিহাদ বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা। অবৈধভাবে সে ভারতে আসে। তাকে মুম্বই থেকে কলকাতায় নিয়ে আসে অভিযুক্তরা।

সূত্র উদ্ধৃত করে আনন্দবাজার জানাচ্ছে, জিহাদ খুনের কথা স্বীকার করেছে। চারজন বাংলাদেশি তাকে এই কাজে সাহায্য করে। শ্বাস বন্ধ করে আনোয়ারুলকে খুন করা হয়। তারপর মৃত এমপি-র হাড় ও মাংস টুকরো করে ব্যাগে ভরে ফ্ল্যাটের বাইরে ফেলে দেয়া হয় সূত্র জানিয়েছে।

জুবের বলে একজনকেও সিআইডি আটক করেছে। তার সঙ্গে খুনের একদিন আগে এক অভিযুক্ত দেখা করে বলে খবর পাওয়ার পর তাকে আটক করা হয়েছে। জিহাদ ও জুবেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমপি-র দেহ বা দেহের টুকরো উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

কলকাতার একটি খালে এমপি-র দেহের কিছু অংশ ফেলা হয়েছে বলে জেরা করে সিআইডি কর্মকর্তারা জানতে পেরেছে। তদন্তকারীরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখেও কিছু তথ্য পেয়েছেন। একটি ট্রলি ব্যাগ নিয়ে অভিযুক্তদের বেরোতে দেখা গেছে। তাদেরই তিনজন ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়েছে। ওই ট্রলি ব্যাগে করে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের খুন হয়ে যাওয়া সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের ছবি।
কলকাতায় খুন হওয়া বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের দেহ এখনো পাওয়া য়ায়নি। ছবি: Md. Nasim

সিআইডি-র একটা দল ঢাকায় গেছে। বাংলাদেশের পুলিশ তিনজনকে এই খুনের সূত্রে গ্রেপ্তার করেছে। সিআইডির কর্মকর্তারা তাদের জেরা করছেন।

সূত্র জানাচ্ছে, আনোয়ারুল কলকাতায় আসার দশদিন আগে দুই অভিযুক্ত কলকাতায় চলে আসে। তারা সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে ছিল।  আনোয়ারুল কলকাতায় আসেন ১২ মে। দশদিন ধরে তাকে হত্যার ছক কষে অভিযুক্তরা।

কলকাতায় আসার দুই দিন পরেই আনোয়ারুলের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল থেকে বার্তা এসেছিল বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের কাছে। ১৮ তারিখ গোপাল বিশ্বাস পুলিশের কাছে ডায়েরি করেন।

জিএইচ/এসজি(আনন্দবাজার)