জলবায়ু সম্মেলন
৭ নভেম্বর ২০১৩অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে তাপমাত্রা এবং সাগরে পানির উচ্চতা বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ ২০০৯ সালে জাতিসংঘের সে সময়কার প্রধান জলবায়ু কর্মকর্তা ইভো ডি বুয়ার বলেছিলেন, বিশ্ব বর্তমানে যে অবস্থার মধ্যে রয়েছে তা ভয়াবহ৷ ডেনমার্কের কোপেনহাগেনে অনুষ্ঠিত সে বছরের সম্মেলনেও কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেননি বিশ্ব নেতারা৷
তবে সেবার ঠিক হয়েছিল, ২০১৫ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে একটি চুক্তি সই করা হবে, যার বাস্তবায়ন শুরু হবে ২০২০ সাল থেকে৷ এর মাধ্যমে বন্যা, দাবদাহ, খরা এবং সাগরের পানির উচ্চতা কমানো সম্ভব হবে৷ আগামী ১১ থেকে ২২ নভেম্বর এবারের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷ এতে অংশ নেবেন ২০০টি দেশের প্রতিনিধিরা৷
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র কিছুটা হলেও এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছে৷ গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে কার্বন নির্গমনের হার ১৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম ছিল৷ তবে সমস্যা সমাধানে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও অনেক উন্নত দেশ অর্থনৈতিক মন্দার কারণ দেখিয়ে চুক্তি থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে৷ এছাড়া সেই মন্দা কাটাতে কারখানাগুলোর কাজ বাড়ছে৷ ফলে কার্বন নিঃসরণ আরো বেড়ে যাচ্ছে৷ বৈদ্যুতিক চুল্লি এবং গাড়ির সংখ্যা বাড়াও একটা কারণ৷
ভারতে দরিদ্র জনগোষ্ঠী কম দামে উচ্চ দূষণ সৃষ্টিকারী কয়লা ব্যবহার করছে৷ ফলে সেদেশে বায়ুদূষণ বাড়ছে৷
‘অ্যালায়েন্স অফ স্মল আইল্যান্ড স্টেটস'গুলোর প্রধান মার্লেন মোসেস জানালেন, যা করা দরকার তা দ্রুত এবং জরুরি ভিত্তিতে করতে হবে৷ এই গ্রুপের সদস্য দেশগুলোর আশংকা সাগরের পানির উচ্চতা বাড়লে দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো ডুবে যাবে৷ বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে যেসব গরিব রাষ্ট্র ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি৷
এর আগে ১৯৯৭ সালে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন রোধে কিয়োটো প্রটোকলের ব্যাপারে জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বনেতারা একমত হলেও পরে সেটা কার্যকর হয়নি৷ কেননা যুক্তরাষ্ট্র সেটাতে অংশ নেয়নি৷
এখন দেখার বিষয়, এবারের সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের আলোচকরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কি ধরনের চুক্তিতে পৌঁছান৷ আগামী বছরগুলোতে কি ধরনের পদক্ষেপ নিলে তাঁরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন, সম্মেলনে সেটাও ঠিক করতে হবে তাঁদের৷
এপিবি/জেডএইচ (এপি/রয়টার্স)