আরজি করের ঘটনার পর বারবার ওসি ও সন্দীপ ঘোষের ফোনে কথা

সিবিআই কল রেকর্ডস থেকে জানতে পেরেছে, গত ৯ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার পর বারবার সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের মধ্যে ফোনে কথা হয়েছে। দুজনে যে একই জায়গায় ছিলেন সেই তথ্যও টাওয়ার লোকেশন থেকে পাওয়া গেছে। ৯ থেকে ১৪ অগাস্ট অভিজিৎ বারবার আরজি করে গেছেন।

সন্দীপ ঘোষকে প্রায় দুইশ ঘণ্টা জেরা করেছে সিবিআই। আর অভিজিৎ মণ্ডলকে জেরা করা হয়েছে প্রায় ৪০ ঘণ্টা ধরে। তাছাড়া মামলার তদন্তকারী অফিসারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।

সেমিনার হলে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর অভিজিৎ ও পুলিশ কর্মীরা সেখানে যান। তারপর সেখানে প্রচুর মানুষকে যেতে দেখা যায়। তদন্তকারীদের মতে, ক্রাইম সিন অক্ষত রাখার কোনো চেষ্টা করা হয়নি। ফলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টেও সিবিআই জানিয়েছে, তারা পাঁচদিন পরে তদন্ত শুরু করে, ততক্ষণে অনেক প্রমাণ নষ্ট হয়ে গেছে।

টালা থানার সাবেক ওসির বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ হলো, তিনি দ্রুত দেহ সৎকার করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। অভিযোগ, তিনি মূল অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন, তিনি সিসিটিভি ফুটেজ রক্ষার ক্ষেত্রেও অবহেলা দেখিয়েছেন।

জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর রোববার বিশাল মিছিল বের করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেখানে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ছিলেন। শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর আন্দোলনস্থলে জুনিয়র ডাক্তাররা উজ্জীবিত হয়ে পড়েন। সারা রাত ধরে প্রতিবাদ চলতে থাকে। প্রচুর মানুষ যোগ দেন।

সেই মিছিলে দেখা যায় স্লোগানের ভাষাবদল হয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, 'উই ডিম্যান্ড জাস্টিস, নট জাস্ট আইস'। অর্থাৎ, জুনিয়র ডাক্তাররা ন্যায়বিচার চান, তাদের দাবি ঠাণ্ডা ঘরে পাঠানোর চেষ্টা তারা মানবেন না।

এটাও বলা হয়েছে, 'আর্জি নয়, দাবি কর'। অর্থাৎ, আরজি কর নিয়ে নিছক আর্জি করছেন না, তারা দাবি জানাচ্ছেন ন্য়ায়বিচারের। যত দিন যাচ্ছে, ততই অবস্থান কঠোর করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

বৃষ্টির মধ্যেই চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান-বিক্ষোভ। বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে বিক্ষোভস্থলে প্লাস্টিকের শিট লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। রাস্তায় পেতে দেয়া হয়েছে প্লাস্টিকের চাদর। এর মধ্যে দিনরাত বসে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন করছেন।

নিম্নচাপের কারণে কলকাতায় আরো কয়েকদিন বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির তীব্রতা বাড়তে পারে। ছাতা মাথায় বিক্ষোভস্থলে ঘুরছেন তারা। বেশি বৃষ্টি হলে তারা প্লাস্টিকের তলায় চলে যাচ্ছেন।