আসামের কয়লা খনিতে আটকে নয় জন শ্রমিক
সোমবার আচমকাই ধস নামে খনিটিতে। উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে সেনা। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কাউকে উদ্ধার করা যায়নি।
আটক নয় জন
অসমের ডিমা হাসাও জেলা উমরাংশু এলাকায় কয়লা খনিতে আটকা পড়েছেন নয় জন শ্রমিক। সোমবার সকালে তারা আটকা পড়েন এবং বিকেল থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। তবে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কাউকে উদ্ধার করা যায়নি।
৩০০ ফুট গভীরে ধস
৩০০ ফুট গভীর সুরঙ্গে আটকা পড়েছেন এই নয় জন শ্রমিক। অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এদের মধ্যে একজন নেপালের, সাতজন অসমের এবং একজন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।
পুলিশের বয়ান
ডিমা হাসাও জেলার পুলিশসুপার ময়ঙ্ক কুমার জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর বারোটা নাগাদ তাদের কাছে খবর আসে এবং সঙ্গে সঙ্গেই স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ) নিয়ে উদ্ধার অভিযানে নামেন তারা।
উদ্ধারকাজে নৌসেনার ডাইভার
তবে পুলিশ এবং এসডিআরএফের প্রাথমিক অভিযানে খুব একটা সুবিধে হয়নি, এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনী ডেকে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে সেনা বাহিনীর পাশাপাশি নৌসেনার প্রশিক্ষিত ডাইভাররা উদ্ধারকাজে নেমেছেন।
দুর্গম পাহাড়
জেলাশাসক সীমান্ত কুমার দাস জানিয়েছেন, যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেটি মেঘালয় সীমান্ত সংলগ্ন একটি দুর্গম জায়গা। তাই প্রাথমিকভাবে সুরক্ষা বাহিনীদের সেখানে পৌঁছতে অতিরিক্ত সময় লেগেছে।
জল ক্রমশ বাড়ছে
কয়লা খনিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন মেশিনের সাহায্যে সুরক্ষা বাহিনীর লোকেরা ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু খনির ভিতর অনেকটা জল থাকায় তারা ব্যর্থ হন। স্থানীয়রা জানান, খনির ভেতর জল ক্রমশ বাড়ছে।
অপেক্ষায় পরিবার
আটকা পড়া শ্রমিকদের সহকর্মী এবং পরিবারের লোকেরা সোমবার সকাল থেকেই অপেক্ষায় রয়েছেন। তাদের মনে আশঙ্কা, হয়তো আটকা পড়া শ্রমিকরা এখন আর বেঁচে নেই।
উদ্ধারকাজে বিলম্বের অভিযোগ
আটকাপড়া নয়জন শ্রমিকের মধ্যে রয়েছেন ডিমা হাসাও জেলার ২৬ বছরের যুবক লিজন মাগার। তার শ্বশুরের অভিযোগ, সোমবার সকাল সাতটা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে অথচ সুরক্ষা বাহিনী বিকেলে এসে পৌঁছেছে।
হিমন্তের টুইট
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে এই উদ্ধারকাজে সহায়তার আবেদন জানান। সেনাবাহিনীর একটি দল রাতেই ডিমা হাসাও জেলার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।