1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আসিয়ান সম্মেলনে ভারত

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১২ আগস্ট ২০১৪

আসিয়ান দেশগুলির সম্মেলনে দক্ষিণ চীন সমুদ্র ইস্যুতে মোদী সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ৷ অন্যান্য আসিয়ান দেশগুলির সঙ্গে গলা মিলিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের একাধিপত্যের দাবির বিরুদ্ধে সরব হয় দিল্লি৷

https://p.dw.com/p/1CsZv
Indischer Premier Modi in Nepal
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীছবি: Prakash Mathema/AFP/Getty Images

মিয়ানমারে সদ্য সমাপ্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির জোট, ‘আসিয়ান'-এর ৪৭তম সম্মেলনে, ছায়া পড়ে দক্ষিণ চীন সমুদ্রে চীনের একাধিপত্যের ইস্যুটি৷ আলোচনা কার্যত ঘিরে থাকে সমুদ্রপথের নিরাপত্তা নিয়ে যে আঞ্চলিক তথা আন্তর্জাতিক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, তার সম্ভাব্য সমাধান সূত্র চীন সরাসরি খারিজ করে দেয়াতে৷ চীনের অনমনীয় অবস্থানে শঙ্কিত আসিয়ান দেশগুলি৷ চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলপ্রয়োগের কথা অস্বীকার করে বলেন, চীনের সার্বভৌমত্ব এবং সমুদ্রপথ রক্ষায় আপোষ করার প্রশ্নই ওঠে না৷ তাঁর মতে পুরো বিষয়টিকে স্বার্থান্বেষী মহল বাড়িয়ে চড়িয়ে দেখাতে চাইছে৷ কোনো দেশের কিছু বলার থাকলে দ্বিপাক্ষিক স্তরে আলোচনা হতে পারে৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দক্ষিণ চীন সাগরের ৯০ শতাংশ নিজের বলে দাবি করে যাচ্ছে বেজিং৷ কারণটা স্পষ্ট, এই সাগরের নীচে লুকিয়ে আছে তেল ও গ্যাসের বিশাল ভাণ্ডার৷ চীন ছাড়া আশিয়ান দেশগুলিও দিল্লি বক্তব্য সমর্থন করে শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা বলে৷

এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান

দক্ষিণ চীন সমুদ্রে যেহেতু ভারতের অর্থনৈতিক তথা কৌশলগত স্বার্থ জড়িত তাই মোদী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ দক্ষিণ চীন সমুদ্র সীমা সম্পর্কে দিল্লির অবস্থান তুলে ধরে বলেন ভারত বলপ্রয়োগের বিরোধী এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে সমুদ্রপথ এবং সমুদ্র সম্পদ ব্যবহারের স্বাধীনতার সমর্থক৷ ১৯৮২ সালের জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী জাহাজ চলাচল ও সমুদ্র সম্পদ আহরণের অধিকারে ভারত বিশ্বাসী৷ ২০০২ সালের দক্ষিণ চীন সমুদ্র সংক্রান্ত আচরণ বিধি আসিয়ান এবং চীনের মেনে চলা জরুরি৷

উল্লেখ্য, দক্ষিণ চীন সমুদ্র ইস্যু নিয়ে ভারত ও চীনের টানাপোড়েল চলছে বেশ কিছুদিন ধরে৷ দক্ষিণ চীন সাগরে নিয়ে চীনের গা জোয়ারি অবস্থানে দিল্লি স্বভাবতই ক্ষুব্ধ এবং চিন্তিত৷ কেননা চীনের একাধিপত্য ক্রমশই হয়ে উঠছে সর্বগ্রাসী৷ পরিস্থিতি এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছায় যে, দক্ষিম চীন সাগরের ভিয়েতনাম জলসীমার একটি ব্লকে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কমিশন তেল উত্তোলনের কাজ শুরু করলে বেজিংয়ের রক্তচক্ষুর জেরে শেষপর্যন্ত পিছু হটতে হয়৷ সম্প্রতি ভিয়েতনামের সমুদ্র সীমায় পারাসেল দ্বীপপুঞ্জের কাছে গভীর সমুদ্রে ভারি ‘অয়েল রিগ' বসায় চীন৷ পাঁচটি ‘লাইট হাউস' তৈরি করে৷ তা সত্ত্বেও সংঘর্ষের পথে গিয়ে পরিস্থিতি আরো ঘোরালো করতে চায় না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আসিয়ান-এর কোনো দেশই৷ আসিয়ান-এর কিছু দেশ আবার অর্থনৈতিক দিক থেকে চীনের ওপর নির্ভরশীল৷ তাই সম্মেলন শেষে যৌথ বিবৃতিতে দক্ষিণ চীন সাগর প্রসঙ্গটিকে লঘু করে দেখাবার চেষ্টা করা হয়৷

সম্মেলনের পার্শ্ব বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যোগদানকারী দেশগুলির সঙ্গে পৃথক পৃথক দ্বিপাক্ষিক স্তরে দক্ষিণ চীন সমুদ্রসহ অর্থনৈতিক, এনার্জি নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়৷ চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাতেও ওঠে দক্ষিণ চীন সাগর প্রসঙ্গ৷ উভয় দেশ নিজ নিজ দেশের অবস্থান তুলে ধরেন৷ চীনের প্রেসিডেন্টের আসন্ন ভারত সফর যাতে সর্বাংশে ফলপ্রসূ হয় তার জন্য উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করে৷ আলোচনা হয় জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সঙ্গে৷ বেসামরিক পরমাণু চুক্তি দ্রুত চূড়ান্ত করার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হয় সর্বাধিক৷

Indien Sushma Swaraj
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজছবি: AP

বলা বাহুল্য, অস্ট্রেলিয়া থেকে ইউরেনিয়াম আমদানি করতে চায় ভারত৷ ইউরেনিয়ামের বড় জোগানদার দেশ অস্ট্রেলিয়া৷ বছরে সাত হাজার টন ইউরেনিয়াম রপ্তানি করে থাকে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য