1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইংকজেট প্রিন্টারে এবার মানুষের চামড়াও ছাপা যাবে

২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১

ইংকজেট প্রিন্টার কালি দিয়ে ছাপার কাজ সারে৷ সেই পদ্ধতিকেই কাজে লাগিয়ে এবার মানুষের জন্য কৃত্রিম চামড়া তৈরি করার পথে এগোচ্ছেন বিজ্ঞানীরা৷ ব্যাপারটা বেশ এগিয়েছে৷ গবেষণা সফল হওয়ার পথে৷

https://p.dw.com/p/10Kxo
মানুষের একখানা কান ছেপে দেখিয়েছে বিকল্প চামড়া তৈরির যন্ত্রছবি: picture-alliance / united-archives/mcphoto

একেবারে তাজ্জব করার মতই ঘটনা৷ ইংকজেট নামের বিশেষ একধরণের সস্তা প্রিন্টার বেশ বহু বছর ধরেই রয়েছে বাজারে৷ যে প্রিন্টারে রঙিন থেকে শাদাকালো সব ছবিই দিব্যি ছাপা হয়৷ তবে এই প্রিন্টার যেহেতু কালি স্প্রে করে ছাপে, অতএব তার জন্য এতে ছাপা ছবি বা অন্যকিছু একটু সময় নেয় শুকিয়ে যেতে৷

ইংকজেট প্রিন্টারের এই বৈশিষ্ট্যই একদল বিজ্ঞানীকে বেশ ভাবিয়ে তোলে৷ তারপর তাঁরা নেমে পড়েন গবেষণায়৷ দেখা যায়, এই প্রিন্টারকে যদি মানব শরীরের একটি কোষ দিয়ে তার সঙ্গে কিছু প্রাকৃতিক জেল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হয়, তাহলে ওই কোষের সঙ্গে মিলিয়ে সে একজন মানুষের চামড়ার বিকল্প ছেপে দেবে৷

ছেপে দিয়েওছে৷ ওয়াশিংটনের বিজ্ঞান কংগ্রেসে প্রথম এই বিষয়টি করে দেখিয়েছেন গবেষকরা৷ আধঘন্টা সময় নিয়ে ইংকজেট প্রিন্টারের প্রযুক্তিতে তৈরি বিকল্প চামড়া তৈরির যন্ত্র মানুষের একখানা কান ছেপে দেখিয়েছে৷ ভবিষ্যতে চামড়া তো বটেই, কার্টিলেজও তৈরি করে দেবে এই প্রযুক্তি৷ দাবি বিজ্ঞানী ও গবেষকদের৷

বলা বাহুল্য, এতে বিস্তর কাজ হবে৷ বিশেষ করে যুদ্ধক্ষেত্রে বা বড়মাপের দুর্ঘটনায় বা অগ্নিকান্ডে যেসব মানুষ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারান, তাঁদের নতুন অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা যাবে সহজেই এই নকল চামড়া দিয়ে৷ কারণ, যেহেতু যার জন্য প্রয়োজন, তারই কোষ নিয়ে এই প্রযুক্তি কাজ করবে, অতএব বিকল্প হলেও সেই চামড়া রোগীর শরীরে গেলেই জীবন্ত হয়ে যাবে৷ ফলে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মাইলফলকের কাজ করে দিতে পারবে এই ইংকজেট প্রযুক্তি৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়

সম্পাদনা: জাহিদুল হক