1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপে বায়ু দূষণে ৫ লাখ মৃত্যু

৩০ অক্টোবর ২০১৮

বেশ কিছু প্রবিধান আরোপ ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে সম্প্রতি বাতাস অনেকটাই দূষণমুক্ত করে নিয়ে এসেছে ইউরোপ৷ তবে গবেষণা বলছে, বছরে এখনো ইউরোপে গড়ে ৫ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু হয়৷

https://p.dw.com/p/37Mp8
22 07 2017 Berlin GER Bauarbeiten an der Rudolf Wissell Bruecke auf der A100 A100 Alltag Asp
ছবি: Imago/Frank Sorge

সোমবার প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে ইউরোপিয়ান এনভায়রনমেন্ট এজেন্সি (ইইএ) বায়ু দূষণকে ‘অদৃশ্য ঘাতক' বলে উল্লেখ করে৷ কোপেনহেগেনভিত্তিক সংস্থাটি জানায়, বাতাসে ‘পিএম ২.৫' নামের খুব ছোট বিষাক্ত কণার উপস্থিতির কারণে ২০১৫ সালে প্রায় ৫ লাখ ইউরোপীয় অকালে মারা গেছেন৷

তবে ১৯৯০ সালের তুলনায় এই অকালমৃত্যু অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে ইইএ৷

‘‘বায়ু দূষণ নীরব ঘাতক এবং আমাদের এর কারণগুলো নিয়ে দ্বিগুণ কাজ করতে হবে,'' বলেন ইইএ প্রধান হান্স ব্রুইনিনক্স৷ ‘‘পরিবহণ, জ্বালানি ও কৃষি খাতে কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়নে আরো বিনিয়োগ করতে হবে৷''

গবেষণাটি ২০০০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইউরোপের ৩৯টি দেশের আড়াই হাজার স্থানের বায়ুর গুণাগুণ পরিমাপ করা হয়৷ তাতে দেখা যায়, পরিবহণ খাত থেকে সবচেয়ে বেশি বাতাস দূষণ হয়৷  বিশেষ করে ডিজেলের নাইট্রোজেন অক্সাইড নির্গমণ এর প্রধান কারণ৷ লন্ডন ও প্যারিসের মতো বড় শহরগুলো এই দূষণের প্রধান শিকার৷ জার্মানি ও তুরস্কেরও অনেক অঞ্চলেই দূষণের মাত্রা অনেক বেশি৷

 

ইইএ'র এই গবেষণায় দেখা গেছে, ক্ষতিকর পিএম২.৫-এর উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি আছে উত্তর ইটালি, পোল্যান্ড, বলকান অঞ্চল ও তুরস্কের বাতাসে৷

অন্যদিকে ভূ-মধ্য সাগরীয় অঞ্চলে ওজোন স্তরের দূষণের মাত্রা বেশি৷ নাইট্রোজেন অক্সাইডের সঙ্গে সূর্যের প্রতিক্রিয়ার কারণে এমনটি ঘটেছে৷

ইইএ'র গবেষণা প্রকাশের দিনই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বায়ু দূষণ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ সেই গবেষণাতেও একই রকমের ফল দেখা গেছে৷ যেমন, জাতিসংঘের সংস্থাটি বলছে, ২০১৬ সালে সারাবিশ্বে ৫ লাখ ৪৩ হাজার শিশু (বয়স ৫ বছরের নীচে) বায়ু দূষণের কারণে মারা গেছে৷ তবে গরীব দেশগুলোতে শিশুরা বেশি ঝুঁকির মধ্যেআছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি৷

জেডএ/এসিবি (এপি)