ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪বৃহস্পতিবার রাতে প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে কলুদ পর্বত৷ অনেক দূর পর্যন্ত কম্পন অনুভূত হয়৷ অগ্নুৎপাতের পর কালো ধোঁয়া আর ছাইয়ে আকাশ ছেয়ে যায়৷ ইন্দোনেশিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়েল মুখপাত্র বামবাং অ্যার্ফান জানান, জগজাকার্তা এবং সুরাবায়া নামের দুটি শহর ছাইয়ে ঢেকে গেছে৷ সুরাবায়া ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর৷ আর জগজাকার্তা পর্যটকদের কাছে খুব আকর্ষণীয়৷ বালির পর প্রতি বছর এই শহরেই ভিড় করে সবচেয়ে বেশি পর্যটক৷
বৃহস্পতিবারের আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে শহর দুটির জনজীবনই শুধু বিপর্যস্ত হয়নি৷ বিমান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে দু'শো অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে৷ কলুদ পর্বতের দশ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ ওই এলাকায় দু'লাখেরও বেশি মানুষের বাস৷ এ পর্যন্ত এক লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে, বাকিদেরও দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে৷
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র সুতপো নুগ্রহ বলেছেন, তিনি মনে করেন কলুদ পর্বতে এখনই আবার অগ্নুৎপাতের আশঙ্কা খুব কম৷ এ পর্বতটিতে এর আগেও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত হয়েছে৷ সর্বেশেষ অগ্নুৎপাত হয়েছিল ২০০৭ সালে৷ এর আগে ১৯৯০ সালের সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নুৎপাতে ৩০ জন মারা যায়৷
ইন্দোনেশিয়ায় ১৩০টির মতো জীবন্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে৷ এ মাসেই সিনাবুং পর্বতের আরেকটি অগ্নুৎপাতে ১৭ জন মারা যায়৷
এসিবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)