ইরাকে জলাভূমি শুকিয়ে যাওয়ায় মরছে মাছ
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ইরাকে শুকিয়ে যাচ্ছে জলাভূমি৷ ফলে মারা যাচ্ছে অনেক মাছ৷
টনে টনে মরা মাছ
ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলের আমশান জলাধারার তীরে ভেসে উঠছে অনেক মরা মাছ৷ ইউফ্রেটিস এবং টাইগ্রেস ডেল্টার পানির মান কমে যাওয়ার সঙ্গে মাছের মৃত্যুর সম্পর্ক রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ তবে, এত মাছ একসঙ্গে মারা যাওয়ার মূল কারণ এখনো জানা যায়নি৷
শুকনা স্থানে মাছ
ইরাকের একটি প্রদেশের নদীর কিনারে অনেক মৃত মাছ দেখা যাচ্ছে৷ জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি দেশের একটি ইরাক৷ বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সম্প্রতি সেখানে তাপমাত্রা ৫৫ ডিগ্রি সেলিসিয়াস অবধি উঠেছিল৷
কমছে মাছের পরিমাণ
পানির স্তর কমে গেলে এবং গরম বাড়লে তা নদীর অক্সিজেন এবং লবণাক্ততার ওপর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে৷ ফলে মাছের উৎপাদনও কমে যায়৷ বর্তমানে বিপুল হারে মৃত মাছ ভেসে ওঠার কারণ খুঁজতে একাধিক তদন্ত শুরু করেছে ইরাকি কর্তৃপক্ষ৷
বিষাক্ত পরিবেশ
নদীর বিষাক্ত পরিবেশের কারণে এই কাছিমটিও মারা গেছে৷ টাইগ্রিস নদীতে প্রতিদিন ৫০ লাখ ঘনমিটার অপরিশোধিত ময়লা পানি ফেলা হয়৷ এই বর্জ্য আমশান নদীর পানিতেও মেশে৷ মৃত এসব মাছ সেই পানির বিষাক্ততার প্রমাণ দিচ্ছে৷
বিশ্ব ঐতিহ্য অঞ্চল
ইরাকের জলাধারপূর্ণ এই অঞ্চলটি ২০১৬ সাল থেকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যর তালিকায় রয়েছে৷ কয়েক হাজার বছর ধরে এখানকার মানুষ জেলে এবং মহিষ পালনকারী হিসেবে প্রকৃতির সঙ্গে মিলে একইধরনের জীবনযাপন করে আসছেন৷
চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা খরা
২০২০ সাল থেকে অঞ্চলটিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেক কমে গেছে৷ এর আগের চল্লিশ বছরে সেখানে এত খরা দেখা যায়নি৷ তুরস্ক এবং ইরানে বিভিন্ন বাঁধ প্রকল্পের কারণেও টাইগ্রিস এবং ইউফ্রেটিস নদীতে পানি কমে গেছে৷