ইরাকে শিয়াদের উপর আবারও হামলা, নিহত ৩
৭ জানুয়ারি ২০১২বাগদাদের দক্ষিণের ছোট্ট শহর মাহমুদিয়ায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকা একটি বোমার বিস্ফোরণে দুজন শিয়া তীর্থযাত্রী নিহত হয়েছেন৷ আর আহত হন ২০ জন৷
আরেকটি ঘটনায় বাগদাদ থেকে ৬৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বের শহর বাকুবায় তীর্থযাত্রীদের বহন করা গাড়িতে বোমার বিস্ফোরণ হলে তাতে মারা যান একজন৷ বোমাটি গাড়ির সঙ্গে লাগানো ছিল বলে জানা গেছে৷
উল্লেখ্য, শিয়ারা সাধারণত ইমাম হুসেনের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন থেকে ৪০ দিন পর্যন্ত দোয়া অনুষ্ঠান করে থাকে৷ এখন সেই সময়টা চলছে৷ এ উপলক্ষ্যে শিয়ারা পবিত্র শহর কারবালায় যাচ্ছিলেন৷ এসময় হামলার ঘটনা ঘটে৷
সম্প্রতি ইরাকের সুন্নি ভাইস প্রেসিডেন্ট তারিক আল হাশেমির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কাজে মদদ দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ইরাকের শিয়া প্রধান সরকার৷ তারই প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন হামলার ঘটনা ঘটছে৷
ইরাকের প্রেসিডেন্ট জালাল তালাবানি, যিনি একজন কুর্দ, তিনি হাশেমিকে আশ্রয় দেবেন বলে জানিয়েছেন৷ এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন শিয়ারা৷ প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে আজ বসরা শহরে বিক্ষোভও অনুষ্ঠিত হয়েছে৷
এদিকে আরেক ঘটনায় সাবেক মার্কিন কোম্পানি ব্ল্যাকওয়াটার'এর সঙ্গে বোঝাপড়া করেছেন ইরাকে নিহত চার মার্কিন নাগরিকের পরিবার৷ ব্ল্যাকওয়াটার হচ্ছে একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা৷ ইরাকে তারা মার্কিন সরকারের হয়ে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ছিল৷
এরই এক পর্যায়ে ২০০৪ সালে যুদ্ধের সময় ব্ল্যাকওয়াটারের ঐ চার কর্মীকে ইরাকের ফালুজাতে কর্মরত অবস্থায় আটক করা হয়৷ পরে তাদের মারধর করে হত্যা করা হয়৷ শুধু তাই নয়, দু'জনের মৃতদেহ একটি সেতু থেকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল৷ আর বাকীদের পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল৷ গণমাধ্যমে এসব ছবি প্রচারিত হওয়ার পর মার্কিন জনগণের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল৷
এদিকে এই ঘটনার পর নিহতদের পরিবার ব্ল্যাকওয়াটারের বিরুদ্ধে মামলা করে৷ তাদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছাড়াই ঐ চারজনকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে পাঠিয়েছিল ব্ল্যাকওয়াটার৷ তাদের বুলেট প্রুফ কোনো গাড়ি দেয়া হয় নি৷ ছিল না কোনো আধুনিক অস্ত্রও৷
তবে এখন শোনা যাচ্ছে, ব্ল্যাকওয়াটারের সঙ্গে বোঝাপড়া হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা কোম্পানির বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিয়েছেন৷ উল্লেখ্য, ব্ল্যাকওয়াটার নাম পরিবর্তন করে এখন ‘একাডেমি' নামে পরিচিত৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই