1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েল ইস্যুতে এর্দোয়ানের সঙ্গে শলৎসের 'দ্বিমত'

১৮ নভেম্বর ২০২৩

গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের সমালোচনা করে হামাসকে "মুক্তিদাতা" বলে উল্লেখ করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান। জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস অবশ্য তার মন্তব্যকে "অযৌক্তিক" বলেছেন। বার্লিনে দুই নেতা এই ইস্যুতে বৈঠক করছেন।

https://p.dw.com/p/4Z8Jm
একাধিক উত্তপ্ত ইস্যু নিয়ে এর্দোয়ানের সঙ্গে আলোচনায় শলৎস
একাধিক উত্তপ্ত ইস্যু নিয়ে এর্দোয়ানের সঙ্গে আলোচনায় শলৎসছবি: REUTERS/Fabrizio Bensch

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে আলোচনার জন্য শুক্রবার বার্লিনে পৌঁছান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান।

২০২০ সালের পর এটাই তুর্কি নেতার প্রথম জার্মানি সফর৷

শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে, জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে "প্রশ্ন করা উচিত নয়।" অন্যদিকে, এর্দোয়ান গাজায় ইসরায়েলের চলমান আক্রমণের তীব্র সমালোচনা করেন। "হাসপাতালে গুলি চালানো'' [এবং] ''শিশুহত্যার নিন্দা'' করেছেন।

শলৎস বলেন, এটা "গোপন বিষয় নয়" যে তিনি এবং এর্দোয়ান "এই সংঘাত নিয়ে যে মতপ্রকাশ করেছেন, তার যথেষ্ট ফারাক রয়েছে।"

শলৎস বলেন, "এই কারণেই আমাদের আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে কঠিন মুহূর্তে একে অপরের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা প্রয়োজন।"

শলৎস বলেন, জার্মানির জন্য "ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকার অখণ্ডণীয়"। তিনি বলেন, "আমাদের দেশে ইহুদি-বিদ্বেষের কোনো স্থান নেই। তা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ধর্মীয় যাই হোক না কেন, তা ডান বা বাম যে দিক থেকে আসুক না কেন। এখানে ইহুদি-বিদ্বেষের কোনো স্থান নেই।"

এর্দোয়ানের দাবি, জার্মানি যদি গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বানে তুরস্ককে সমর্থন করে, তাহলে একটা সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে মতবিরোধ

জার্মানি ও তুরস্কের বিরোধের একটি প্রধান বিষয়ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ। একদিকে, এর্দোয়ান গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আক্রমণের তীব্র সমালোচনা করেছেন। ইসরায়েলকে যুদ্ধাপরাধী হিসাবে অভিযুক্ত করেছেন।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তাদের আক্রমণের লক্ষ্য হলো ৭ অক্টোবরের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে গাজায় হামাসকে নির্মূল করা।

হামাস জঙ্গিদের ‘মুক্তিদাতা' বলে উল্লেখ করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। অথচ, ইসরায়েল, জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবংইইউ সহ অন্যান্য দেশগুলো হামাসকে সন্ত্রাসীসংগঠন হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

মঙ্গলবার এর্দোয়ানের অভিযোগকে "অযৌক্তিক" বলে উল্লেখ করেন শলৎস। তিনি বলেন, ''ইসরায়েল গণতান্ত্রিক দেশ। মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কাজ করে সে দেশ।"

শনিবার শলৎসের সঙ্গে আলোচনার আগে জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ভাল্টের-স্টাইনমায়ারের সঙ্গে দেখা করেন এর্দোয়ান।

জার্মান প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, আলোচনায় জার্মানির অবস্থানের উপর জোর দেয়া হয়েছে। "ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকার এবং আত্মরক্ষার অধিকার"-এর কথা তুলে ধরা হয়েছে।

আলোচনার সময় আর কী আশা করা যায়?

বৈঠকের আগে শলৎস জানান, ন্যাটো সামরিক জোটে সুইডেনের যোগদানের বিষয়টি নিয়েও তাদের কথা হতে পারে।

সুইডেনে আশ্রয় নেওয়া ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী'গুলির সদস্যদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে আসছিল তুরস্ক৷ তাই সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদান নিয়ে তাদের আপত্তি ছিল। বিশেষ করে তুরস্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর তালিকাভুক্ত কুর্দি পিকেকে সংগঠনের সদস্যদের দমন করার উপর জোর দিয়ে আসছিল সে দেশ৷ পরে যদিও তুরস্কের সুর নরম হয়।

দুই নেতার বৈঠকে আজ অভিবাসন নিয়েও কথা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ব্লকের বহিরাগত সীমান্তে অভিবাসন রোধের প্রচেষ্টায় একজন প্রধান মিত্র তুরস্ক। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এটাই মনে করে।

আগামী বছরের শুরুতে তুরস্কের পৌরসভা নির্বাচন রয়েছে। এর্দোয়ানের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) রাজধানী আঙ্কারা এবং সবচেয়ে জনবহুল শহর ইস্তাম্বুলের আসন পুনরুদ্ধারের আশা করছে।

আরকেসি/এডিকে (রয়টার্স, ডিপিএ)