উলটো পথে হাঁটা
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ব্রাজিলের ক্রীড়ামন্ত্রী আলদো রেবেলোও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন, ক্ষুব্ধ৷ এই সেদিনই তো দেশে হয়ে গেল কনফেডারেশন্স কাপ৷ নেইমার যখন মাঠ মাতাচ্ছেন, রিও ডি জানেরোর পথে তখন বিক্ষুব্ধ জনতার ভিড়৷ দারিদ্র্যে জর্জরিত মানুষদের কথা না ভেবে বিশ্বকাপ আয়োজনে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢালার ব্যাপারটিকে ভালো চোখে দেখতে পারছিলেন না তাঁরা৷ পারার কারণও নেই৷ যাঁদের শ্রমে, যাঁদের করের টাকায় আয়োজন সার্থক হবে, তাঁদের কথা কি সরকার বা ফুটবল ফেডারেশন ভেবেছে?
ভেবেও আসলে সরকার তেমন কিছু করতে পারছেনা৷ কনফাডেরশন্স কাপে ব্রাজিলের সাফল্যে বড় বাস্তবতাও হয়ে গিয়েছিল গৌণ৷ কিন্তু সম্প্রতি আবার ফুটে উঠেছে ফুটবল ক্লাব এবং কর্মকর্তাদের লাগামছাড়া অর্থলিপ্সা৷ ব্রাসিলিয়ায় ফ্লামেঙ্গো সান্তোস স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন হলো৷ সেখানে যে কোনো ম্যাচ দেখতে হলে আগ্রহী দর্শককে কমপক্ষে ৮০ ডলার খরচ করতে হবে৷ এটা জেনে খোদ ক্রীড়ামন্ত্রী বলেছেন, যেখানে ন্যূনতম মাসিক বেতন ৩৪০ ডলার, সেখানে টিকিটের সর্বনিম্ন দাম এত বেশি করা ভারি অন্যায়৷ গরিব ফুটবলামোদীদের কথা ভেবে টিকিটের দাম কমানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি৷ কেউ তাঁর কথা শুনলে তো!
চার মাস আগে একটি প্রীতি ম্যাচকে ঘিরে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল ব্রাজিলে৷ নতুন আঙ্গিকে সাজানো মারাকানা স্টেডিয়ামে ব্রাজিল-ইংল্যান্ড প্রীতি ম্যাচে সবচেয়ে কম দামের টিকিটটিরও দাম ধরা হয়েছিল ৪৫ ডলার৷ তখন সমালোচকরা বলেছিলেন, রিও ডি জানেরোর এই ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়ামে আট বছর আগে টিকিটের সর্বনিম্ন যে দাম ছিল এক লাফে তা ৩০ গুণ বাড়িয়ে দেয়া খুব অন্যায়৷ ফ্লামেঙ্গো সান্তোস স্টেডিয়াম সেই অন্যায়কেও লজ্জায় ফেলেছে৷
এসিবি/এসবি (এপি)