এক নজরে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০২১
২৯৪টি আসনের জন্য আট দফায় ভোট শেষ৷ এবার ভোট গণনা এবং ফলাফল ঘোষণার পালা৷ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের খুঁটিনাটি জেনে নিন ছবিঘরে...
করোনায় নির্বাচন
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝেই পশ্চিমবঙ্গে সম্পন্ন হলো বিধানসভার ভোটগ্রহণ৷ শুরু থেকেই করোনাকালীন বিধি উপেক্ষার অভিযোগ উঠলেও তা নিয়ে নির্বাচন কমিশন সোচ্চার হয় নির্বাচনের শেষ লগ্নে৷ নতুন বিধিতে কমিশন জানায় যে, ফলাফল ঘোষণা ও পরবর্তীতে বিজয় উদযাপনে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে রাজনীতিকদের৷ ভোটগণনা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতেও সাথে রাখতে হবে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল বা দুই ডোজ করোনার টিকা পাওয়ার প্রমাণ৷
আট পর্বে ভোট
আট দফায় ভোটগ্রহণ পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনি ইতিহাসে এই প্রথম৷ টানা ৬৬ দিন ধরে চলে নির্বাচন৷ ২৭ মার্চ, ১ এপ্রিল, ৬ এপ্রিল, ১০ এপ্রিল, ১৭ এপ্রিল, ২২ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল ও ২৯ এপ্রিলে ভোট দেন পশ্চিমবঙ্গের ভোটাররা৷ ফলাফল ঘোষণা ২ মে৷
মোট আসন
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার মোট আসন ২৯৪টি৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মাধ্যমে সরকার গড়তে কোনো একটি দল বা জোটকে জয়লাভ করতে হবে অন্তত ১৪৮টি আসনে৷
মোট ভোটকেন্দ্র
গোটা রাজ্যজুড়ে ৭৮হাজার ৭৯৯টি কেন্দ্রে চলে ভোটগ্রহণের কাজ৷ শুধু পোলিং বুথ বা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নয়, ৮০ বছরের বেশি বয়সের ভোটারদের জন্য নির্বাচন কমিশন ঘরে বসে ভোটদানেরও ব্যবস্থা করেছিল৷ তবে ভারতের বাইরে বসবাসরত ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা ছিল না এই নির্বাচনে৷ নতুন ভোটারের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯৩৷
মোট দল
এবারের নির্বাচনের লড়াইয়ের ময়দানে মোট ১৮টি দল৷ এই দলগুলির মধ্যে তৃণমূল কংগ্রসের সাথে আসন সমঝোতায় রয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা৷ এছাড়া, ভারতীয় জনতা পার্টির সাথে রয়েছে অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন দলটি৷ বামফ্রন্টের শরিক সিপিআইএমসহ মোট পাঁচটি রাজনৈতিক দলের সাথে এবার ‘সংযুক্ত মোর্চা’র আকারে হাত মেলালো কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট৷ এছাড়া বেশ কিছু নির্দলীয় প্রার্থীও এবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন৷
মোট প্রার্থী
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এবার ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন মোট দুই হাজার ১৩২জন প্রার্থী৷
পুননির্বাচন
ভোট গণনার আগে পর্যন্ত, করোনার কারণে চারজন প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে৷ওই আসনগুলোতে পরে নির্বাচন হবে৷ এছাড়া, আট পর্বের বাইরে বিশেষ পরিস্থিতির কারণে জঙ্গিপুর ও শামসেরগঞ্জ আসনের ভোটগ্রহণ হবে ১৬ মে৷
সহিংসতা
পশ্চিমবঙ্গে ভোটগ্রহণের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ঘটেছে মারামারি, হাতাহাতির ঘটনা৷ গোলাগুলি থেকে বোমাবাজি কিছুই বাদ পড়েনি৷ প্রতিপক্ষের হামলা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ ভোটারের৷ এর বাইরে বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে৷ নারী প্রার্থীরাও হয়েছেন হামলার শিকার৷
প্রার্থীদের শাস্তি
নির্বাচনি প্রচারের সময় বিধিভঙ্গের অভিযোগে শাস্তি পেতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডল আর বিজেপির দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহাকে৷ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই প্রার্থীদের ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার জন্য প্রচার বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয়৷