এশিয়ায় জন্ম-মৃত্যু দুটোই কমেছে
১ মে ২০০৯এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার স্ট্যাটিসটিক্যাল ইয়ারবুকে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা, এবং থাইল্যান্ডসহ ১৬টি দেশে জনসংখ্যার হার কমেছে মারাত্নক হারে৷ অন্যদিকে, বাংলাদেশ, ভারত, আফগানিস্তান, কম্বোডিয়া, লাওস, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইনস, তাজিকিস্তান এবং টিমোর-লেস্টে-তে এখনো এক একজন মায়ের গড়ে সন্তান রয়েছে তিনটি করে৷ তবে এই অঞ্চলে মৃত্যুহারও কমেছে বলে তারা জানাচ্ছে৷
দুই হাজার সাল থেকে এ পর্যন্ত করা হিসাবে দেখা যাচ্ছে, এই অঞ্চলে বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ১ শতাংশে নেমে এসেছে৷ জানা যাচ্ছে, ২০১২ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা হবে ৭ বিলিয়ন ও ২০৫০ সালের মধ্যে ৯ বিলিয়নের কিছুটা বেশি৷
জাতিসংঘের ইকোনমিক এন্ড সোসাল কাউন্সিল ফর এশিয়া এন্ড প্যাসেফিক এর নির্বাহী পরিচালক এবং জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ড, নয়েলিন হেইজার বলেন, জাপানের মত কিছু দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে যাওয়ার বিষয়টির সঙ্গে আমরা আগে পরিচিত ছিলাম, কিন্তু এখন আমরা এশিয়ার অন্য অনেক দেশেই এই সমস্যা দেখতে পাচ্ছি৷
ইউএনএফপিএর কর্মকর্তা ভেয়ার্নার হাউগ বার্তা সংস্থা আইপিএসকে বলেন, এশিয়ার জনসংখ্যা বাড়তে থাকবে, যদিও বৃদ্ধির হার আগের দশকগুলোর তুলনায় অনেক কম হবে৷
চীনে ১৯৭৮-এর আগে বেশি সন্তান নেয়াকে উৎসাহিত করা হতো৷ ফলে পরবর্তীকালে দেশটিতে খাদ্যাভাব দেখা দেয়ায় তৎকালীন সরকার মাত্রাধিক জনসংখ্যাকে উন্নয়নের বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করে এবং ১৯৭৯-এর পর সরকার প্রত্যেক পরিবারকে একটি করে সন্তান নিতে উৎসাহিত করে৷ ফলে জন্ম নেয় পৃথিবী বিখ্যাত এক সন্তান নীতি৷ বর্তমানে চীনের মোট জনসংখ্যা ১.৩ বিলিয়ন, জন্মহার ১.৭ এবং বৃদ্ধির হার ০.৬ শতাংশ যা এশিয়ার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য৷
জনসংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ ভারত৷ পৃথিবীর মোট ভূমির প্রায় ২.৪ শতাংশ ভারতের হলেও পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ রয়েছে এখানেই৷ অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতি ছয়জন মানুষের মধ্যে একজন ভারতে বাস করে৷ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার এই দেশটি আগামী ৪০ বছরের মধ্যে চীনকে ছাড়িয়ে জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর প্রথম স্থানে যাবে বলে অনেকে মনে করছেন৷ ২০০৮ সালে দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ১১৫ কোটি ছিল এবং ২০৫০ সালে জনসংখ্যা হবে ১৮০ কোটিরও বেশি৷
প্রতিবেদক: সাগর সরওয়ার, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক