অ্যামেরিকায় বৈঠক এড়ালেন জয়শঙ্কর
২০ ডিসেম্বর ২০১৯কাশ্মীর সমস্যা এ বার সরাসরি পৌঁছে গেল মার্কিন কংগ্রেসের অন্দরে। প্রশ্ন উঠল, বিশ্বের দরবারে ভারত কি কাশ্মীর প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতে চাইছে? উল্লেখ্য, ১৩৪ দিন হয়ে গেল কাশ্মীর ইন্টারনেটহীন। এত দিন ধরে কোনও অঞ্চলকে ইন্টারনেটহীন করে রাখার ক্ষেত্রে এটা রেকর্ড।
ভারতের প্রায় সবকটি রাজ্যে যখন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিক্ষোভ চলছে, ঠিক তখনই অ্যামেরিকা সফরে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। গত এক সপ্তাহে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংএবং জয়শঙ্কর বৈঠক করেছেন মার্কিন স্টেট সেক্রেটারির সঙ্গে। বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে দুপক্ষই মন্তব্য করেছিল। বস্তুত, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পরেও অ্যামেরিকা পাশেই থেকেছে ভারতের। এবং দুদেশের সম্পর্ক মজবুত রাখার ক্ষেত্রে জয়শঙ্করের গুরুত্ব স্বীকার করেছে অ্যামেরিকার কূটনীতি মহল। কিন্তু সেই সম্পর্কে চিড় ধরলো বলেই মনে করছেন অনেকে। কারণ, আগাম আয়োজিত বৈঠক শেষ মুহূর্তে বাতিল করেছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল জয়শঙ্করের। যেখানে অন্যতম প্রতিনিধি ছিলেন প্রমীলা জয়পাল। কিছুদিন আগে প্রমীলা মার্কিন কংগ্রেসে কাশ্মীর প্রসঙ্গে প্রস্তাব এনেছিলেন। অ্যামেরিকার সংবাদমাধ্যমের দাবি, শেষ মুহূর্তে জয়শঙ্কর জানান, বৈঠক থেকে প্রমীলাকে বাদ দিতে হবে। কিন্তু মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল তাতে সম্মত না হওয়ায় বৈঠক ভেস্তে যায়। যদিও এ বিষয়ে জয়শঙ্কর কিংবা অ্যামেরিকার ভারতীয় দূতাবাস কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
প্রমীলা জানিয়েছেন, কাশ্মীরে যে ভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হয়েছে, তা অনুচিত। এ বিষয়ে ভারত সরকারের ভাবা উচিত। শুধু তাই নয়, তাঁর বক্তব্য, যে ভাবে ভারত কাশ্মীর প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাচ্ছে, তা সঙ্গত নয়। এই পরিস্থিতিতে আলোচনায় বসাই কাম্য।
মার্কিন কূটনীতিকদের একটি বড় অংশের বক্তব্য, জয়শঙ্কর ভাল কূটনীতিক। ভাল কথা বলেন। মার্কিন কূটনৈতিক মহল তাঁকে পছন্দ করে। এই পরিস্থিতিতে জয়শঙ্করের এই পদক্ষেপ বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে। প্রমীলাও জানিয়ে দিয়েছেন, কাশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি ফের কংগ্রেসে সরব হবেন।
এসজি/জিএইচ (নিউ ইয়র্ক টাইমস, এনডিটিভি)