কীর্তি গড়তেই চান ল্যোভ
৩ জুন ২০১৮একে একে বারো বছর কেটে গেছে৷ প্রায় যতটা সময় আঙ্গেলা ম্যার্কেল জার্মানির চ্যান্সেলর, ততটা সময়ই তিনি দেশটির জাতীয় দলের কোচ৷ সেই চুক্তি আরো বেড়েছে৷ এই বিশ্বকাপের পরের বিশ্বকাপ অর্থাৎ ২০২২ সাল পর্যন্ত কাগজে কলমে অন্তত তিনি দলের সবচেয়ে গুরুদায়িত্ব পালন করবেন৷
এরই মধ্যে দেশের কাছ থেকে পেয়েছেন ফেডারেল ক্রস অফ মেরিট-এর সম্মান৷ জিতেছেন ফিফার বর্ষসেরা কোচের উপাধি৷ দু'বার জিতেছেন বিশ্বের সেরা জাতীয় কোচের পুরস্কার৷ তাই তাঁকে এবার এগিয়েই যেতে হবে, কারণ নতুন কিছু পাবার জন্য নয়৷ বরং কিছু যেন হারাতে না হয় সেইজন্যে৷
‘সম্ভাবনাময় দল'
‘‘২০১৪ সালের বিশ্বকাপ একটি অর্জন ছিল, কিন্তু মাইলফলক নয়'', বলেন এই ৫৮ বছর বয়সি৷ কারণ, এই একটি অর্জনই সব নয়৷ তিনি তাই অর্জন করতে চান যা এর আগে কেবল ইটালির কোচ ভিটোরিও পোৎসোই অর্জন করতে পেরেছিলেন৷ তা হলো, কোচ হিসেবে দলকে পরপর দু'বার বিশ্বকাপ জেতানোর গৌরব অর্জন৷
ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জন সহজ কথা নয়৷ প্রচুর পরিশ্রম দরকার৷''
‘‘আপনি যখন সাফল্য পেতেই থাকেন, তখন আপনি কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলতে পারেন৷ এমনকি সাফল্য পাওয়ার ক্ষুধাও আপনার মধ্যে কমে যেতে পারে৷ পড়তে বেশি সময় লাগে না৷''
ল্যোভ মনে করেন তাঁর দলের এখনো অনেক সম্ভাবনা রয়েছে৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমি তো দলে প্রচুর সম্ভাবনা দেখি৷ এদের সঙ্গে কাজ করতে এবং আরো দক্ষ করে গড়ে তুলতে আমি খুব উদ্দীপ্ত বোধ করি৷''
জাতীয় দলের কোচ হিসেবে তিনি স্বস্তি পান৷ কারণ, ক্লাব ফুটবলের প্রতি সপ্তাহের চাপ তাঁকে নিতে হয় না৷ ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ বা বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তেই শুধু চাপ থাকে৷ তার আগে তিনি মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে এগোতে থাকেন৷
‘‘আমরা সবসময়ই উদাহরণ তৈরি করতে চাই৷ তাই আমাদের চোখ ভবিষ্যতের দিকে৷ মাঝে মাঝে এমন সব পরিকল্পনা মাথায় আসে, যা এখন পাগলের প্রলাপ বলে মনে হতে পারে৷ তবে আমরা জানি যে, একদিন সেটিই করব৷''
তাহলে কি রাশিয়া বিশ্বকাপেও তেমন ‘বিশেষ' কোনো কৌশল নিয়ে এগোচ্ছেন তিনি? হতেও পারে৷ তবে দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স কিন্তু কিছুটা হতাশাব্যঞ্জক৷ বিশ্বকাপের দাবিদার চার দল ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন ও ব্রাজিলের বিপক্ষে ভালো করতে পারেনি তারা৷ তিনটি ড্র ও একটি পরাজয়৷ তবে হতাশ হলে চলবে না৷
সবাই জানে যে, জার্মানি হলো টুর্নামেন্টের দল৷ সেখানেই তারা ভালো করে৷
ল্যোভ এই বিশ্বকাপের পরিকল্পনা হাতে নিয়ে বসেছেন অন্তত দু'বছর আগে৷ ‘‘পরিকল্পনা ছাড়া সাফল্য আসবে না৷ পরিষ্কার ধারণা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে গেলেই কেবল অনেক দূর পৌঁছানো সম্ভব৷'' ল্যোভ বলেন ডিডাব্লিউকে৷
তিনি বোঝেন, ব্যর্থতার জন্য খুব কম সুযোগই ছাড়তে হবে৷ তবে শেষতক ভাগ্যকেও সুপ্রসন্ন হতে হবে৷ তাই ‘ফিঙ্গার ক্রস্ড'৷
সারাহ ভিয়ার্ৎস/জেডএ
আপনার প্রিয় দল কোনটি? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷