কে-পপ: ২০১৯ সালের যত স্ক্যান্ডাল ও ট্রাজেডি
দক্ষিণ কোরিয়ার পপ ইন্ডাস্ট্রি বিশ্বজুড়ে কে-পপ বলেই খ্যাত৷ বিশেষ করে এশিয়ায় কে-পপ তারকাদের খ্যাতি আকাশছোঁয়া৷ কিন্তু একের পর এক স্ক্যান্ডাল আর মৃত্যুর ঘটনা ২০১৯ সালে প্রকাশ করেছে এই ইন্ডাস্ট্রির কুৎসিত এক দিক৷
একের পর এক মৃত্যু
২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত অভিনেতা ও গায়ক চা ইন-হা-কে তার নিজ বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়৷ ২৭ বছর বয়সি এ অভিনেতার চলচ্চিত্রে অভিষেক ২০১৭ সালে৷ দুটি অ্যালবাম প্রকাশ করা সারপ্রাইজ ইউ ব্যান্ড-এরও সদস্য ছিলেন তিনি৷ সংবাদমাধ্যমকে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চা-এর মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি৷ কারো সঙ্গে ব্যক্তিগত শত্রুতার কোনো ঘটনাও জানা যায়নি৷
জনপ্রিয়তা ও হতাশা
নভেম্বরেই আরেক জনপ্রিয় কে-পপ শিল্পী কু হারাকে তার অ্যাপার্টমেন্টে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়৷ ২৮ বছরের এই শিল্পীকে অবশ্য বেশকিছু দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছিল৷ অ্যাপার্টমেন্টে হাতে লেখা একটি নোটের সন্ধান পায় দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ৷ সেখানে নিজের জীবন সম্পর্কে হতাশার কথা প্রকাশ করে গেছেন এই শিল্পী৷
যৌনতা ও দুর্নীতি
নিজের ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে যৌনকর্মী সরবরাহ করার অভিযোগে কে-পপ গ্রুপ বিগ ব্যাং-এর সাবেক সদস্য লি সিউং-হিউনের বিচার চলছে৷ এরপর থেকে তার মালিকানাধীন ব্যান্ড এজেন্সি ওয়াইজি এন্টারটেনমেন্টের শেয়ারের দাম কমেই চলেছে৷
শিল্পীই যখন নিপীড়ক
২০১৯ সালের নভেম্বরে দুই কে-পপ তারকা জুং-ইয়ং এবং চই জং-হুন মদ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়া এক নারীকে নির্যাতন করেন৷ সৌল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট জুং-কে ছয় বছর এবং চইকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়৷ আদালত জানায়, গোপনে সেক্স ভিডিও শেয়ার করা হয় এমন এক অনলাইন চ্যাট গ্রুপের সদস্য ছিলেন এই দুই তারকা৷
চরম রক্ষণশীলতা
অক্টোবরে মারা যান মেয়েদের একটি ব্যান্ড গ্রুপের সদস্য চউ জিন-রি৷ তার মৃত্যু আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে৷ সুলি নামে জনপ্রিয় এই কে-পপ তারকা অনলাইন হয়রানির বিরুদ্ধে বেশ সোচ্চার ছিলেন৷ বক্ষবন্ধনীর বিপক্ষে নিজের অবস্থান প্রকাশ করায় বেশকিছু দিন ধরে তাকে অনলাইনে আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছিল৷
মাদক
বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় শিল্পীর ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা ওয়াইজে এন্টারটেনমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা ইয়াং হিয়ুন-সুক জুন মাসে প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রযোজকের পদ ছেড়ে দেন৷ মাদক ও সেক্স সংক্রান্ত নানা স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি৷ (ছবিতে কে-পপ গ্রুপ টোয়াইসের শিল্পীদের দেখা যাচ্ছে)