1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গণতন্ত্রে গণভোট কতটা কার্যকর হতে পারে?

২ মে ২০১১

জার্মানির একটি রাজ্যে শীঘ্রই এক গণভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে৷ সেইসঙ্গে গণভোটের সুফল ও কুফল নিয়ে চলছে বিতর্ক৷ জার্মানিতে গণভোট আয়োজনের সুযোগ থাকলেও এই রীতি ব্যতিক্রম থেকে গেছে৷

https://p.dw.com/p/117Lx
ছবি: picture alliance/Photoshot

জার্মানির বাডেন ভ্যুর্টেমব্যার্গ রাজ্যের সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে রাজধানী স্টুটগার্টের প্রধান স্টেশনের বিতর্কিত সংস্কার প্রকল্প অন্যতম প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছিল৷ সবুজ দল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ক্ষমতায় এলে এই প্রশ্নে তারা গণভোটের আয়োজন করবে৷ ঐতিহাসিক এই নির্বাচনে জিতে প্রথম বারের মতো একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন সবুজ দলের কোনো নেতা৷ এবার তাঁর প্রতিশ্রুতি পালনের পালা৷

এমন এক ঘটনার জের ধরে গোটা জার্মানিতেই গণভোটের পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত শোনা যাচ্ছে৷ নির্দিষ্ট কয়েক বছরের ব্যবধানে আয়োজিত নির্বাচনে জার্মানির ভোটাররা ফেডারেল, রাজ্য ও পৌর স্তরে জনপ্রতিনিধিদের বেছে নেন৷ সংসদ, বিধানসভা বা পুরসভায় গিয়ে তাঁরাই সব প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেন৷ ভালো কাজ করলে তাঁরা পুনর্নির্বাচিত হন, না করলে বিদায় নিতে হয়৷ কিন্তু বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে আলাদা করে জনগণের রায় নেওয়া উচিত কি না, তা নিয়ে জার্মানিতে বিতর্ক রয়েছে৷ প্রতিবেশী দেশ সুইজারল্যান্ডে অত্যন্ত ঘনঘন গণভোটের রীতি রয়েছে৷ জার্মানির সংবিধানে একমাত্র কোনো রাজ্যের সীমানায় পরিবর্তন ঘটানোর উদ্যোগের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান রয়েছে৷ ১৯৯৬ সালে বার্লিন ও সংলগ্ন রাজ্য ব্রান্ডেনবুর্গ জুড়ে একটি রাজ্য গঠনের প্রশ্নে এই দুই শহর ও রাজ্যে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল৷ বার্লিনের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এই প্রস্তাবের পক্ষে রায় দিলেও ব্রান্ডেনবুর্গের মানুষ এর বিরোধিতা করে৷ ফলে প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়৷

তবে রাজ্য ও পৌর স্তরে গণভোট আয়োজন করার সুযোগ রয়েছে৷ সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটারের স্বাক্ষরের প্রয়োজন পড়ে৷ তারা প্রথমে গণভোটের প্রয়োজনীয়তার দাবি জানালে তবেই গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে৷ ২০০৮ সালে বার্লিনের একটি বিমানবন্দর বন্ধ করার প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল৷ তবে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ ভোটার তাতে অংশ না নেওয়ায় তার ফলাফল বাতিল হয়ে যায়৷ এমন ঘটনা অন্য রাজ্যেও ঘটেছে৷ সংবিধান অনুযায়ী শুধু ২৫ শতাংশ ভোটার গণভোটে অংশ নিলেই চলবে না, মোট ভোটের কমপক্ষে ২৫ শতাংশ প্রস্তাবের পক্ষে পড়তে হবে৷ তবেই সেই গণভোটের সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে৷ ২০১০ সালে বাভেরিয়ায় এক গণভোটে প্রকাশ্যে ধূমপানের বিরুদ্ধে প্রায় ৬১ শতাংশ ভোট পড়েছিল৷ সেই গণভোটকে অত্যন্ত সফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক