গণপরিবহণে ইলেক্ট্রিক বাহন চালু করতে চায় উগান্ডা
৮ জানুয়ারি ২০২৫সাম্প্রতিক সময়ে কাম্পালায় গাড়ির ধোঁয়া ও শব্দ শহরের বাসিন্দা ও পরিবেশের জন্য বোঝা হয়ে উঠেছে৷
জাতিসংঘের হিসাব বলছে, আফ্রিকার অন্যতম দূষিত শহর কাম্পালা৷
সরকার এই পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে চায়৷ সেজন্য গ্যাসোলিনচালিত পরিবহণের জায়গায় ইলেক্ট্রিক বাহন চালুর চেষ্টা শুরু হয়েছে৷
প্রথম ধাপ হিসেবে সরকারি গাড়ি নির্মাতা কিরা মোটর্সে বিনিয়োগ করেছে সরকার৷ মাকেরের বিশ্ববিদ্যালয় এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে৷ ইলেক্ট্রিক বাহন চার্জ দিতে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি আসছে জলবিদ্যুৎ থেকে৷ ইতিমধ্যে ২৭টি ইলেক্ট্রিক গাড়ি চলছে৷
কিরা মোটর্সের কর্মকর্তা অ্যালান মুহুমুজা জানান, ‘‘বেসরকারি কোম্পানিগুলো আমাদের সম্ভাব্য ক্রেতা, পর্যটন খাতও৷ তাই আমরা কাম্পালার ট্যাক্সি মালিক সমিতির সঙ্গে কাজ করছি৷ তাদের ট্যাক্সিতে ১৪টি আসন আছে৷ আমরা এর পরিবর্তে আরও বেশি আসনের ইলেক্ট্রিক গাড়ি চালু করতে চাই৷ সরকারের এতে সমর্থন আছে৷ কম আসনের বাহন থেকে বেশি আসনের বাহনের প্রতি সরকার আগ্রহী৷''
ইলেক্ট্রিক বাসগুলো বর্তমানে উগান্ডা এয়ারলাইন্স ও সিভিল এভিয়েশন অথোরিটির মতো সরকারি সংস্থাগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে৷
তবে বিষয়টি লজ্জার, বলছেন বাসগুলোতে চড়া যাত্রীরা৷ যেমন প্যাট্রিক ওকেলো ওরিয়েম বলেন, ‘‘বাসটা খুব আরামদায়ক৷ আপনি কোনো ভাইব্রেশন অনুভব করবেন না৷ কোনো ধোঁয়া নেই৷ এসিও দারুণ৷ নকশাটাও সুন্দর৷ আমরা বলেছি, এই বাস যদি উগান্ডার উত্তরাঞ্চলে চালু করা যায়, তাহলে আমরা বলতে পারবো যে, আমরা উগান্ডায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে নিরাপদ গণপরিবহণ ব্যবহার করছি৷''
কাম্পালার অনেক ট্যাক্সি আর বাস বেশ পুরনো৷ এগুলোতে চলাচল নিরাপদ নয়, এগুলো পরিবেশবান্ধবও নয়৷ মাইকেল ওয়ানিয়ামা একটি সংস্থা গড়ে তুলেছেন, যেটি সড়কে নিরাপত্তা ও যাতায়াতের কারণে হওয়া স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে কাজ করে৷
তার নিয়মিত কাজের মধ্যে আছে একটি যান সড়কে চলাচলের উপযোগী কিনা তা দেখভাল করা এবং সেই তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেওয়া৷
অটো সেফটি উগান্ডা প্রোগ্রামের কর্মকর্তা মাইকেল ওয়ানিয়ামা বলেন, ‘‘এসব তথ্য পাওয়ার পর সরকার সেগুলো নীতি ও নিয়ম-কানুন তৈরিতে ব্যবহার করতে পারে৷ মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে ইলেক্ট্রিক বাহন কিনতে আগ্রহী করতে সরকার হয়ত প্রণোদনার ব্যবস্থা চালু করতে পারে৷ আরেকটি বিষয়: প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করা সংস্থা হিসেবে আমরা কিছু যানকে ইলেক্ট্রিক বাহনে রূপান্তরের কাজ করছি৷''
নতুন গাড়ি কেনার চেয়ে এটি সাশ্রয়ী বিকল্প হতে পারে৷ একটি ইলেক্ট্রিক ট্যাক্সির দাম ৩৫ হাজার ইউরো হতে পারে, যেটি অনেক ট্যাক্সি চালকের পক্ষেই কেনা সম্ভব নয়৷
ইলেক্ট্রিক গাড়ি আমদানিতে সরকার এখনও কর নিয়ে থাকে, তাই অনেক চালকের পক্ষে এগুলো কেনা সম্ভব নয়৷
ই-মোবিলিটি পুরোপুরি অর্জন করতে উগান্ডায় আরও অ্যাক্টিভিস্ট ও বিনিয়োগ প্রয়োজন৷ তবে যাত্রা শুরু হয়েছে- যদিও সামনে অনেক পথ৷
ইউলিয়া মিলকে, হিলারি আয়েসিগা/জেডএইচ