বিহার নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি
৯ নভেম্বর ২০১৫নির্বাচন মাত্রই হারজিতের প্রশ্ন৷ কিন্তু ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি দল ও তাকে কেন্দ্র করে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ‘সংঘ পরিবার' সম্প্রতি অসহিষ্ণুতা, সাম্প্রদায়িক বিভাজনের মতো বিষয়কে বার বার হাতিয়ার করেছে, তা দলীয় রাজনীতির সংঘর্ষের সীমারেখা লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ উঠছে৷ ফলে অনেকে বিহারে বিজেপির পরাজয়কে সেই বিভাজনের রাজনীতির পরাজয় হিসেবে দেখছেন৷ প্রজ্ঞা শ্রীবাস্তব কলকাতার ‘দ্য টেলিগ্রাফ' দৈনিকের একটি শ্লেষাত্মক বিশ্লেষণ শেয়ার করেছেন৷
ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম মনে করেন, মোদীর সামনে দুটি পথ খোলা রয়েছে৷ তিনি আবার পুরো সময়ের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন এবং পুরো সময় তাঁর উন্নয়নের অ্যাজেন্ডার প্রতি মনোযোগ দিতে পারেন৷
বিশাল মেহরা মনে করেন, বিহার নির্বাচনের ফল দেখিয়ে দিচ্ছে যে গরুর মাংস নিষিদ্ধ করার মতো ফালতু বিষয় তাদের মোটেই সাহায্য করে না৷ তাই উন্নয়নের প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত৷
জনৈক ইমরান খান লিখেছেন, একটি বিষয়ের প্রমাণ হয়ে গেছে৷ গরু শুধু দুধ দেয় – ভোট দেয় না৷
বিজেপির একের পর এক পরাজয়ের প্রেক্ষিতে দলের ‘সুদিন আসছে' স্লোগানকে কটাক্ষ করে মহেশ মূর্তি টুইট করেছেন৷
বিহারে বিজেপির পরাজয় ঘটলে পাকিস্তানে উল্লাস দেখা যাবে ও আতসবাজি পোড়ানো হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ৷ ফলাফল জানার পর দুই দেশেই এ বিষয়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে৷
সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ