1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গোলান মালভূমিতে জনসংখ্যা দ্বিগুণ করবে ইসরায়েল

১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

অধিকৃত গোলান মালভূমিতে জনসংখ্যা দ্বিগুণ করতে এক কোটি ১০ লাখ ডলারের পরিকল্পনা রূপায়ণ করবে ইসরায়েল।

https://p.dw.com/p/4oAuj
কামানের নিয়ে ইসরায়েলের সেনা আলফা লাইনের পাশে।
বাশার আল আসাদের পতনের পর বাফার জোনে সেনা নিয়োগ করেছে ইসরায়েল। ছবি: Matias Delacroix/AP Photo/picture alliance

প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় নতুন ফ্রন্টের মোকাবিলায় এই প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকার। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ''গোলান মালভূমি এলাকাকে শক্তিশালী করার অর্থ হলো, ইসরায়েলকে শক্তিশালী করা। এই সময়ে যা খুবই জরুরি।'' নেতানিয়াহু বলেছেন, ''এই এলাকা ইসরায়েলের অধিকারে থাকবে, সেখানে মানুষ আরো বাড়ানো হবে এবং তারা সেখানে বসবাস করবেন।''

৫০ হাজারের বেশি মানুষ এখন এই পাথুরে মালভূমি এলাকায় বসবাস করেন। তাদের মধ্যে অর্ধেক ইসরায়েলের ইহুদি।

সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের পতনের পর ইসরায়েল সিরিয়ার দিকে বাফার জোনে সেনার সংখ্যা অনেকটাই বাড়িয়েছে।

১৯৬৭ সালে ইসরায়েল গোলান মালভূমি অধিকার করে। ১৯৮১ সালে তা ইসরায়েলের সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক আইনে তা সিরিয়ার অঞ্চল হিসাবেই দেখানো হয়।

সিরিয়ার বিপদ এখনো আছে, বললেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, ''বাশার আল আসাদকে উৎখাত করা বিদ্রোহীরা সুর কিছুটা নরম করলেও সিরিয়ার দিক থেকে বিপদের সম্ভাবনা আছে।''

কাটজ দেশের প্রতিরক্ষা বাজেট নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের বলেছেন, ''বিদ্রোহী নেতারা এখন তাদের ভাবমূর্তি বদলের ইঙ্গিত দিলেও সিরিয়ার ঝুঁকি শেষ হয়ে যায়নি। বরং সেখানে যা হচ্ছে, তাতে এই ঝুঁকি বাড়ছে।''

গত রোববার সিয়িরায় বিদ্রোহী এইচটিএস গোষ্ঠী আসাদকে ক্ষমতাচ্যূত করে। তারপর ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরায়েল চুক্তিতে চিহ্নিত করা অসামরিক এলাকায় ঢুকে পড়ে ইসরায়েলের সেনা। ইসরায়েলের সেনা সিরিয়ার সেনার ছেড়ে যাওয়া ঘাঁটিও দখল করে নেয়।

ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা এখানে স্থায়ীভাবে থাকবে না। এটা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটা সাময়িক ব্যবস্থা।

সিরিয়ায় স্কুল খুললো

সিরিয়ায় নতুন শাসকদের নির্দেশে স্কুল খুললো। সিরিয়ার পরিস্থিতি যে স্বাভাবিক হচ্ছে, এটা তার প্রমাণ হিসাবে স্কুল  খোলা হয়েছে।

অধিকাংশ স্কুলই রোববার খুলে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক না হওয়ায় কিছু পড়ুয়াকে স্কুলে পাঠায়নি তাদের পরিবার।

বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, রাজধানীতে নাহলা জাইদান স্কুলে শিক্ষকরা সাবেক সরকারের পতাকার জায়গায় বিদ্রোহীদের পতাকা তুলেছেন।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)