চীনের ‘ক্যানসার হোটেল’
হাসপাতালে থাকার যে ব্যয় তার চেয়ে কম খরচে ‘ক্যানসার হোটেল’এ থাকতে পারেন রোগী ও তার পরিবার৷ বড় হাসপাতালগুলোর আশেপাশেই পাওয়া যায় এমন হোটেল৷
ত্রিশ লক্ষের বেশি
প্রতিবছর ৩০ লক্ষেরও বেশি চীনা নাগরিক ক্যানসারে আক্রান্ত হন৷ তাদের অনেকেরই হাসপাতালের খরচ দেয়ার সামর্থ্য থাকে না৷
আছে স্বাস্থ্যবিমা
চীনের ১৪০ কোটি নাগরিকের জন্য সরকারি স্বাস্থ্যবিমা সেবা চালু আছে৷ তবে এর আওতায় শুধু মৌলিক কিছু সেবা পাওয়া যায়৷ এছাড়া মোট খরচের অর্ধেক রোগীকে দিতে হয়৷ ক্যানসারের মতো জটিল রোগের ক্ষেত্রে আরও বেশি খরচ দিতে হয় রোগীদের৷
দারিদ্র্যকে বরণ
সরকারি তথ্য বলছে, চীনের ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত পরিবার চিকিৎসার খরচ মেটাতে গিয়ে দরিদ্র হয়ে পড়ছে৷ ছবিতে এক রোগীকে ক্যানসার হোটেলের রুমে নিজের সিটি স্ক্যান দেখতে দেখা যাচ্ছে৷
হাসপাতালের অর্ধেক
ছবিতে ৪২ বছরের ওয়াংকে দেখতে পাচ্ছেন৷ তিনি জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত৷ চিকিৎসা নিতে তিনি ইনার মঙ্গোলিয়া থেকে সাড়ে সাতশ’ কিলোমিটার দূরের বেইজিংয়ে গেছেন৷ উঠেছেন এক ক্যানসার হোটেলে৷ সেখানে এক রাতের ভাড়া ১০ ডলারের একটু বেশি৷ হাসপাতালের একটি বিছানার ভাড়া তার প্রায় দ্বিগুন৷
ছোট জায়গায় ভালো ডাক্তার থাকতে চান না
ওয়াং-এর স্বামী ৪৬ বছরের লিউ রয়টার্সকে বলেন, ভালো চিকিৎসকরা মফস্বল কিংবা ছোট শহরগুলোতে কাজ করতে চান না৷ ফলে জটিল রোগের চিকিৎসা নিতে সবাইকে শহরে যেতে হয়৷ ছবিতে বেইজিং এর একটি এলাকা দেখা যাচ্ছে যেখানে ক্যানসার হোটেল রয়েছে৷
দীর্ঘদিনের বাসিন্দা
একটি ক্যানসার হোটেলের ম্যানেজার জানিয়েছেন, বেশিরভাগ রোগী কয়েকমাস থেকে এক বছর পর্যন্ত এসব হোটেলে থাকেন, কারণ, চিকিৎসা সেবা পেতে তাদের দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়৷ ছবিতে হোটেলের বাসিন্দাদের তাদের কাপড়-চোপড় শুকাতে দেখা যাচ্ছে৷
হোটেলের সুযোগ-সুবিধা
এসব হোটেলের ঘরগুলোতে টেলিভিশন ও ফ্যান থাকে৷ বাসিন্দারা চাইলে রুমেই রান্না করতে পারেন৷ যেমনটা ছবিতে দেখছেন একটি হোটেল রুমে রান্নার উপকরণ দেখা যাচ্ছে৷
‘আমরা গরিব এলাকার মানুষ’
কথাটা ৬০ বছরের প্যান-এর৷ ২০১৩ সালে তাঁর স্ত্রী’র মলাশয়ের ক্যানসার ধরা পড়ে৷ তখন থেকে চিকিৎসায় তাঁদের খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪০ হাজার ডলার৷ রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘‘বিমা সুবিধা থেকে খরচের মাত্র অর্ধেকটা আসে৷ আমরা শহরের মানুষ নই যে হাজার হাজার ইউয়ান খরচ করতে পারবো৷ আমরা কৃষক মানুষ৷ চিকিৎসার জন্য আমাদের অর্থ ধার করতে হয়৷’’