ছাই মেঘে ইউরোপের আকাশ যোগাযোগ ব্যাহত
১৫ এপ্রিল ২০১০বুধবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে ছাই মেঘের ঘনঘটা৷
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেট বিমানসমূহের জন্য এটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এটা দৃষ্টিসীমাকে খুবই সংকুচিত করে ফেলে৷ এই পরিস্থিতিতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সাথে আকাশ পথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে৷
একইসাথে উত্তাপে হিমবাহ গলে সৃষ্টি হচ্ছে বন্যা৷ ফলে রাস্তাঘাট এবং সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সড়ক যোগাযোগও৷ ইতিমধ্যে এইজাফজালাজোকুল আগ্নেয়েগিরি আশেপাশে বসবাসকারী প্রায় ৮০০ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে নিরাপদ দূরত্বে৷ এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে আইসল্যান্ডে ছাই মেঘের এটি দ্বিতীয় ঘটনা৷
ঘন ছাই মেঘের কারণে লন্ডনের হিথ্রো এবং গ্যাটউইক বিমানবন্দরসহ স্কটল্যান্ডের সকল প্রধান বিমানবন্দর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে৷ এছাড়া নরওয়ে, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের উত্তরাঞ্চলের বিমান বন্দরগুলোতেও সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে৷
অবশ্য আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি ঘটনা হচ্ছে, আইসল্যান্ডের বিমান বন্দরগুলোতে বিমান উড্ডয়ন এবং অবতরণ পুরোপুরি স্বাভাবিক রয়েছে৷ এর কারণ হচ্ছে, ছাই মেঘ আইসল্যান্ড থেকে পূর্ব দিকে উড়ে যাচ্ছে, জানালেন দেশটির বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র হর্ডিস গাডমুন্ডসডটির৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা সত্যিই আশ্চর্য হওয়ার মত ব্যাপার৷ আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে আমরা মনে করছি, কমপক্ষে আগামী ১২ ঘণ্টা এখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে৷''
উল্লেখ্য, ১৮২৩ সালের পর গত মাসেই প্রথম এইজাফজালাজোকুল আগ্নেয়েগিরি থেকে লাভা উদ্গিরণের ঘটনা ঘটে৷ এতে ঐ এলাকা থেকে সরে যেতে হয়েছিল প্রায় ৬০০ মানুষকে৷ রাজধানী রেকইয়াভিক থেকে মাত্র ১২৫ কিলোমিটার পুবের এই আগ্নেয়গিরিতে এবারের অগ্ন্যুৎপাত গত মাসের চেয়েও ভয়াবহ বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ৷ আইসল্যান্ডের জিওফিজিক্স এর অধ্যাপক ম্যাগনাস টামি গাডমুন্ডসন বলেন, এই অগ্ন্যুৎপাত কতদিন স্থায়ী হবে তা বলা যায় না৷ কয়েকদিন থেকে এক বছর পর্যন্তও স্থায়ী হয়ে থাকে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা৷ তবে এটির প্রাথমিক রূপ দেখে মনে হচ্ছে, এটা বেশ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে৷
প্রতিবেদক : হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক