জ্যাকসন নেই, ভাবতে পারছেন না ফ্যানেরা
২৬ জুন ২০০৯বৃহস্পতিবার জ্যাকসনের মৃত্যুর খবর বাতাসের চেয়েও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে৷ জ্যাকসনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এই খবর পেয়েই হাজার হাজার ভক্ত জড়ো হন লস এঞ্জেলেস এর ইউসিএলল মেডিকেল সেন্টারের সামনে৷ সময় যত যাচ্ছিলো ততই প্রিয় গায়কের খবর পাওয়ার জন্য অধীর হয়ে উঠছিলো তারা৷ প্রিয় মাইকেল জ্যাকসন আর নেই, এই খবর পাওয়ার পরই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে অনেক ভক্ত৷ একই রকম রকম ঘটনার অবতারণা ঘটে বিশ্বের আরও অনেক জায়গায়৷ জ্যাকসনের জন্মস্থান শিকাগোর গেরিতেও সমবেত হয়েছেন হাজার হাজার সমর্থক৷
বিদায়বেলায় গোটা বিশ্বের কোটি কোটি ভক্ত ছাড়াও অনেক নামকরা তারকাকেও কাঁদিয়েছেন জ্যাকসন৷ জ্যাকসন যদি হন পপ সম্রাট, তাহলে ম্যাডোনা হবেন পপ সম্রাজ্ঞী৷ জ্যাকসনের মৃত্যুর খবর শুনে কান্না আটকে রাখতে পারেননি ম্যাডোনা৷ এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমি সবসময় জ্যাকসনের বন্দনা করে এসেছি৷ বিশ্ব এক মহান ব্যক্তিকে হারিয়েছে কিন্তু তাঁর সঙ্গীত চিরদিন বেঁচে থাকবে৷
মাইকেল জ্যাকসনের আগে যিনি ছিলেন পপ জগতের তারকা সেই এলভিস প্রিসলেরর মেয়ে লিজা মেরি প্রিসলে বলেছেন, আমি খুবই শোকগ্রস্ত এবং আবেগাক্রান্ত৷ এটা এমন ক্ষতি যা ভাষায় আমি প্রকাশ করতে পারবো না৷ কিংবদন্তী অভিনেত্রী এলিজাবেথ টেলর ছিলেন মাইকেল জ্যাকসনের একজন বন্ধু৷ তাঁর মৃত্যুতে এলিজাবেথ টেলর এতটাই বিপর্যস্ত যে তিনি এ মুহুর্তে কোন শোক বিবৃতি দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন৷ কেবল বিনোদন জগত নয়, সব মহলের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা অর্জন করেছিলেন পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসন৷ তাদের সকলকেই কাঁদিয়ে চলে গেলেন সঙ্গীত জগতে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকা মাইকেল জ্যাকসন৷
প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়