ট্রাম্প নন, তিনি আরেক ডোনাল্ড
১১ নভেম্বর ২০১৬
বছর খানেক আগেও তিনি ছিলেন অজ্ঞাত, অখ্যাত, হতাশাগ্রস্থ পঞ্চাশোর্ধ এক গৃহহীন৷ যুক্তরাষ্ট্রের স্যারাসোটার পথই ছিল তাঁর ঘর৷ নেশা ছিল দু'টি৷ এক মাদক, দুই পিয়ানো৷ প্রথম নেশাটি তাঁকে নিয়ে যাচ্ছিল মৃত্যুর দিকে আর দ্বিতীয়টি রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে তাঁকে বসিয়েছে তারকার আসনে৷
গোড ফুরসত পেলেই পিয়ানো নিয়ে বসে পড়তেন রাস্তার ধারে৷ বুঁদ হয়ে যেতেন সুরের জাদুতে৷ একদিন সেই জাদু এক পথচারীকেও মোহাচ্ছন্ন করল৷ থমকে দাঁড়ালেন তিনি৷ নিজের মোবাইল ফোনে ভিডিও করলেন এবং সেই ভিডিও আপলোড করলেন ইউটিউবে৷ বাকিটা ইতিহাস৷
ইউটিউবে আপলোড করার কিছুদিনের মধ্যেই সাইবার দুনিয়ায় ব্যাপক পরিচিতি পেয়ে যান ডোনাল্ড গোড৷ যুক্তরাষ্ট্রের এক টিভি চ্যানেলের বিশেষ অনুষ্ঠানে পিয়ানো বাজানোর ডাক পড়ে৷ শ্রোতাদের মুগ্ধতা দেখে জীবন নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেন মিশিগানে জন্ম নেয়া গোড৷ মাদকাসক্তি থেকে মুক্ত হতে নিজেই ভর্তি হয়ে যান মাদক নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে৷ তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি৷
পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে বের হবার পর বাস্কেটবল ম্যাচে ৭৫ হাজার দর্শককে বাজিয়ে শোনান যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত৷ জাপানের এক টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানেও দেখানো হয় তাঁকে৷ এ সবের মাঝে বিপদও যে আসেনি তা নয়৷ একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে৷ আরেকবার গাড়ির ধাক্বায় এক পা ভেঙেছে৷ তারপরও হতাশার জীবনে ফেরেননি৷ সুহৃদদের ভালোবাসা আর সহযোগিতায় আজ তিনি বিশ্বের অনেক দেশেই পরিচিত৷ সম্প্রতি বাজারে এসেছে তাঁর সিডি৷ পথের ধারের সেই ডোনাল্ড গোড আজ তারকা পিয়ানো শিল্পী৷ আপন মহিমায় মহিমান্বিত তিনি৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে কম কিসে!
এসিবি/ডিজি