ডর্টমুন্ডের নাট-বল্টু খুলে নিল হামবুর্গ
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩শনিবার ডর্টমুন্ডের ফ্যানদের আসল প্রত্যাশা ছিল নুরি সাহিনের প্রত্যাবর্তন থেকে, যিনি আবার ধারে ফিরেছেন তাঁর পুরনো ক্লাবে৷ অবশ্য ডর্টমুন্ডের হয়ে প্রথম গোলটি করেন রবার্ট লেভান্ডোভস্কি, পোল্যান্ডের জাতীয় খেলোয়াড় ও ডর্টমুন্ডের সবচেয়ে ধারালো হাতিয়ার, বায়ার্ন যাকে হাতানোর তালে আছে৷ হামবুর্গের গোলে ছিলেন রেনে আডলার, যিনি সদ্য জাতীয় দলের হয়ে প্যারিসের স্টাড দ্য ফ্রঁসে খেলে এসেছেন৷ এদিন তিনি ডিফেন্ডার হাইকো ভেস্টারমানের সঙ্গে বলটা কে নেবে, তা নিয়ে একটি ভুল বোঝাবুঝির ফলে লেভান্ডোভস্কি'কে সুযোগ করে দেন বটে, কিন্তু তারপর আর দ্বিতীয় কোনো ভুল করেননি৷
ওদিকে হামবুর্গের আর্টিয়োম রুডনেভস - ইনি লাটভিয়ার মানুষ - এবং হেউং মিন-সন - ইনি দক্ষিণ কোরিয়ার - প্রত্যেকে দু'টি করে গোল করে ডর্টমুন্ডকে ডুবিয়ে দেন৷ এ'তো গেল পয়েন্টের তালিকায় দ্বিতীয়, ডর্টমুন্ড৷ তৃতীয় লেভারকুজেনও ডর্টমুন্ডের হারের সুযোগ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠতে পারতে, কিন্তু তারা মোয়েনশেন-গ্লাডবাখের সঙ্গে ড্র করে ৩-৩ গোলে৷ এমনকি ফ্রাংকফুর্টও শনিবার নুরেমবার্গের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র ছাড়া আর কোনো সুবিধে আদায় করতে পারেনি৷ কাজেই সকলেই যে তিমিরে, সে তিমিরে, এক বায়ার্ন ছাড়া৷
বায়ার্ন এখন বুন্ডেসলিগার আকাশে নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বল করছে৷ তাদের আত্মবিশ্বাসের একটা পরিচয় হল: কোচ ইয়ুপ হাইনকেস আর্সেনালের বিরুদ্ধে ২৯শে ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়নস লিগের খেলার কথা ভেবে থমাস ম্যুলার ও মারিও মাঞ্জুকিচ'কে বিশ্রাম দিয়েছেন৷ তাদের বদলে নামিয়েছেন আরিয়েন রবেন ও মারিও গোমেজ'কে, যারা দুজনেই চোট খাওয়ার পর সুস্থ হবার মুখে৷
অন্যতরফে শালকে'রও দীর্ঘ চোটের তালিকা৷ যেমন তাদের স্টার স্ট্রাইকার ক্লাউস-ইয়ান হুন্টেলার চোখের অপারেশনের জন্য বাদ পড়েছে৷ অবশ্য বায়ার্ন যেভাবে তাদের চারটে গোল দিয়েছে, তার পর শালকে'র ডিফেন্স-অফেন্স নিয়ে চুলচেরা হিসেব করে লাভ নেই৷ করতে হলেও, সেটা শালকের করা ভালো, ফুটবলমোদীদের নয়৷
সব মিলিয়ে অর্থ দাঁড়াল, ডর্টমুন্ডের চেয়ে এখন ১৫ পয়েন্ট এগিয়ে বায়ার্ন৷ ওদিকে বুন্ডেসলিগার আরো ১৩টা সপ্তাহান্ত বাকি৷ কাজেই বায়ার্ন এখন প্রয়োজনে চ্যাম্পিয়নস লিগের দিকে আর একটু বেশি মনোযোগ দিতে পারবে৷