1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ত্রিপোলি থেকে কর্মী সরিয়ে নিল জাতিসংঘ

২ মে ২০১১

লিবিয়ার রাজধানীতে থাকা ব্রিটেন ও ইটালির দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে৷ এদিকে নিরাপত্তার কারণে ত্রিপোলি থেকে কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছে জাতিসংঘ৷

https://p.dw.com/p/117Mv
epa02712616 Libyans hold Libyan national flags and posters of Leader Muammar Gaddafi to express their support as they are gathered near his damaged house, one day after it was hit by an airstrike, in Tripoli, Libya, 01 May 2011. Saif al-Arab Gaddafi, 29, was killed in a NATO airstrike on the capital Tripoli, a spokesman for the government said on state television late 30 Mai, his father and Gaddafi's wife survived the attack, despite being in the same house, spokesman Moussa Ibrahim told reporters after they were led on a tour of the bombing site. Three grandchildren of Gaddafi were also reported to have been killed in the attack on the Bab al-Aziziya compound, which was struck by at least three missiles. EPA/STR +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

দূতাবাসে আগুন

ন্যাটোর অভিযানে গাদ্দাফি পরিবারের সদস্য নিহত হওয়ার খবর জেনে কয়েকজন বিক্ষুব্ধ জনতা একাজ করেছে৷ তবে সেসময় ঐ দূতাবাস দুটিতে কেউ ছিল না৷ কারণ লিবিয়ার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার পর সেখান থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নেয় ব্রিটেন ও ইটালি৷ তবে তারপরও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দেশ দুটি৷ ব্রিটেন ক্ষিপ্ত হয়ে লন্ডনে থাকা লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে৷ অ্যামেরিকাও এই ঘটনার সমালোচনা করে বলেছে, লিবিয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে৷ ব্রিটেনও একই কথা বলেছে৷

লিবিয়ার বক্তব্য

উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদ কায়িম এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷ আর বলেছেন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসেব করে তারা নিজেদের খরচে দূতাবাসের সংস্কার করে দেবেন৷

জাতিসংঘ

ত্রিপোলিতে থাকা সংস্থাটির ১২ জন কর্মীকে সরিয়ে আপাতত টিউনিশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ কারণ গাদ্দাফির ছেলের মৃত্যুর সংবাদ জানার পর বিক্ষুব্ধরা জাতিসংঘের কার্যালয়েও হামলা চালায়৷ তারা কয়েকটি গাড়িও নিয়ে যায়৷ তাই তড়িঘড়ি করে সংস্থাটির কর্মীদের সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷ তবে পরিস্থিতি আবার ঠিক হলে তাদের সেখানে ফিরিয়ে নেয়া হবে বলে জানা গেছে৷ ঐ কর্মীরা মাত্র কদিন আগেই ত্রিপোলি গিয়েছিলেন৷ লিবিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে সরকারের সঙ্গে জাতিসংঘের একটি চুক্তির পরই ঐ কর্মীরা সেখানে গিয়েছিলেন৷ তবে লিবিয়ায় থাকা জাতিসংঘের অন্যান্য কর্মীরা যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন৷

টেলিভিশনে গাদ্দাফির ছেলের মৃতদেহ

তাঁর ছেলে আসলেই মারা গেছে কি না তা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের যেন কোনো ভ্রান্ত ধারণা না থাকে সেটা দূর করতেই টেলিভিশনে লাশ দেখানো হয়েছে৷ এছাড়া ত্রিপোলির সবচেয়ে শ্রদ্ধাভাজন ক্যাথলিক কর্মকর্তা ইটালির একটি টিভিতে দেয়া সাক্ষাৎকারে গাদ্দাফির ছেলের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম