ত্রিপোলি থেকে কর্মী সরিয়ে নিল জাতিসংঘ
২ মে ২০১১দূতাবাসে আগুন
ন্যাটোর অভিযানে গাদ্দাফি পরিবারের সদস্য নিহত হওয়ার খবর জেনে কয়েকজন বিক্ষুব্ধ জনতা একাজ করেছে৷ তবে সেসময় ঐ দূতাবাস দুটিতে কেউ ছিল না৷ কারণ লিবিয়ার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার পর সেখান থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নেয় ব্রিটেন ও ইটালি৷ তবে তারপরও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দেশ দুটি৷ ব্রিটেন ক্ষিপ্ত হয়ে লন্ডনে থাকা লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে৷ অ্যামেরিকাও এই ঘটনার সমালোচনা করে বলেছে, লিবিয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে৷ ব্রিটেনও একই কথা বলেছে৷
লিবিয়ার বক্তব্য
উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদ কায়িম এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷ আর বলেছেন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসেব করে তারা নিজেদের খরচে দূতাবাসের সংস্কার করে দেবেন৷
জাতিসংঘ
ত্রিপোলিতে থাকা সংস্থাটির ১২ জন কর্মীকে সরিয়ে আপাতত টিউনিশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ কারণ গাদ্দাফির ছেলের মৃত্যুর সংবাদ জানার পর বিক্ষুব্ধরা জাতিসংঘের কার্যালয়েও হামলা চালায়৷ তারা কয়েকটি গাড়িও নিয়ে যায়৷ তাই তড়িঘড়ি করে সংস্থাটির কর্মীদের সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷ তবে পরিস্থিতি আবার ঠিক হলে তাদের সেখানে ফিরিয়ে নেয়া হবে বলে জানা গেছে৷ ঐ কর্মীরা মাত্র কদিন আগেই ত্রিপোলি গিয়েছিলেন৷ লিবিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে সরকারের সঙ্গে জাতিসংঘের একটি চুক্তির পরই ঐ কর্মীরা সেখানে গিয়েছিলেন৷ তবে লিবিয়ায় থাকা জাতিসংঘের অন্যান্য কর্মীরা যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন৷
টেলিভিশনে গাদ্দাফির ছেলের মৃতদেহ
তাঁর ছেলে আসলেই মারা গেছে কি না তা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের যেন কোনো ভ্রান্ত ধারণা না থাকে সেটা দূর করতেই টেলিভিশনে লাশ দেখানো হয়েছে৷ এছাড়া ত্রিপোলির সবচেয়ে শ্রদ্ধাভাজন ক্যাথলিক কর্মকর্তা ইটালির একটি টিভিতে দেয়া সাক্ষাৎকারে গাদ্দাফির ছেলের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম