1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দিল্লিতে কুস্তিগিরদের সঙ্গে পুলিশের বড় ঝামেলা

৪ মে ২০২৩

দিল্লিতে বেশ কিছুদিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কুস্তিগিররা। বুধবার রাতে তাদের সঙ্গে পুলিশের ঝামেলা হয়। কুস্তিগিরদের মারধরের অভিযোগ।

https://p.dw.com/p/4Qs2w
অলিম্পিক পদকপ্রাপ্ত বজরং পুনিয়াও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
অলিম্পিক পদকপ্রাপ্ত বজরং পুনিয়াও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। ছবি: Rauoof Ganie/DW

বুধবার প্রায় সারাদিন ধরে বৃষ্টি হয়েছে দিল্লিতে। যন্তর মন্তরে কুস্তিগিররা বেশ কিছুদিন হলো বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তারা মাটিতে কাঠের তক্তার উপর গদি পেতে শুয়ে থাকেন। বৃষ্টিতে সেগুলি ভিজে যায়। কুস্তিগিররা তখন ফোল্ডিং খাট আনান।

সেই খাট যখন বিক্ষোভস্থলে আনা হয়, তখন পুলিশ বাধা দেয়। তারা কিছুতেই খাট ভিতরে নিয়ে যেতে দিতে রাজি ছিল না। এই নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। কুস্তিগিররা খাট ভিতরে নিয়ে যেতে চান।

বেশ কয়েকজন কুস্তিগির মাথায় আঘাত পান। একজন অজ্ঞান হয়ে যান। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

পুলিশের বক্তব্য, আপ নেতা সোমনাথ ভারতী ঘটনাস্থলে ফোল্ডিং খাট নিয়ে যান। কিন্তু এই খাট নিয়ে আসার কোনো অনুমতি তার ছিল না। তাই তাকে বাধা দেয়া হয়। তারপর ছোটখাট ঝামেলা হয়।

কুস্তিগিরদের দাবি, কিছু পুলিশ মদ খেয়ে ছিল। তারা নারী কুস্তিগির বিনেশ ফোগতের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেছে। বিনেশ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় মেডেলপ্রাপ্ত। কমনওয়েলথ গেমসে সোনা পাওয়া কুস্তিগির গীতা ফোগত জানিয়েছেন, তার ভাই দুষ্মন্ত ফোগতের মাথায় আঘাত লেগেছে।

বিনেশ ফোগত কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, ''আমরা কি অপরাধী? যদি আমাদের মারতে চাও তো মেরে দাও।'' অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক পাওয়া বজরং পুনিয়া বলেছেন, ''সরকার আমাদের কাছ থেকে সব মেডেল নিয়ে নিক।''

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুরো এলাকা পুলিশ ঘিরে রেখেছে। সাংবাদিকদেরও সেখানে যেতে দিচ্ছে না। কংগ্রেস নেতা দীপিন্দর সিং হুডা রাতে সেখানে গিয়েছিলেন। তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

কেন এই বিক্ষোভ?

কুস্তিগিরদের অভিযোগ, ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজ ভূষণ শরণ সিং মেয়ে কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থা করেছেন। তাকে শাস্তি দিতে হবে। তাকে ফেডারেশনের পদ থেকে সরাতে হবে।

এর আগেও এই দাবি নিয়ে কুস্তিগিররা যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। কিন্তু তখন সরকার একটা কমিটি করে দেয়। তারপর বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেন তারা।

কুস্তিগিরদের অভিযোগ, এরপরেও কিছু হয়নি। তারা পুলিশে অভিযোগ করেছেন। পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এই ব্রিজভূষণ শরণ সিং হলেন বিজেপি-র সাংসদ এবং উত্তরপ্রদেশের প্রভাবশালী নেতা।

দিল্লির মহিলা কমিশনের বক্তব্য

দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান স্বাতী মালিওয়াল বলেছেন, তিনি রাতে ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। তাকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুলে দেয়া হয়।

স্বাতী জানিয়েছেন, সকালে তিনি আবার আসেন। তখনও ঢুকতে দেয়া হচ্ছিল না। অনেক ঝগড়া করে তিনি এসেছেন।  তার প্রশ্ন, দিল্লি পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না? কেন তারা কাউকে এখানে ঢুকতে দেবে না? কেন তারা দিল্লির মহিলা কমিশনকে পর্যন্ত কাজ করতে বাধা দিচ্ছে? কোন আইনে তারা এই কাজ করতে পারে?

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এনডিটিভি)