1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুই কোরিয়ায় শান্তির সম্ভাবনা

১৯ এপ্রিল ২০১৩

সমস্যা যে বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া আর যুক্তরাষ্ট্রের সেই যৌথ সামরিক মহড়া এ বছরের মতো শেষ হতে আর বেশি বাকি নেই৷ তবে সেই সময় আসার আগেই উত্তর কোরিয়া দিয়েছে আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ফেরানোর প্রস্তাব৷

https://p.dw.com/p/18Ix1
Karte Infografik Insel Baengnyeong island is situated between North and South Korea ENG

দক্ষিণ কোরিয়া আর যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ বার্ষিক সামরিক মহড়া চলতি এপ্রিল মাসের শেষেই শেষ হওয়ার কথা৷ হিসেবে মাত্র ১১ দিন বাকি৷ কোরীয় উপদ্বীপে এ মহড়া শুরু হওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয় দুই কোরিয়া আর যু্ক্তরাষ্ট্রের মধ্যে৷ উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাদের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা চালানোর হুমকি, তারপর প্রতিপক্ষ দুই দেশের তরফ থেকে আবার পাল্টা হুমকি এসব চলছে গত কয়েক মাস ধরেই৷ কিন্তু মহড়া যখন শেষ হওয়ার পথে, তখনই উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এসেছে আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট নিরসনের প্রস্তাব৷ সঙ্গে অবশ্য এমন কিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছে যেগুলো পূরণ হবে বা পূরণ করা সম্ভব ধরে নেয়া আপাত দৃষ্টিতে এ মুহূর্তে প্রায় অসম্ভব৷

উত্তর কোরিয়ার প্রধান দাবি, তাদের ওপর থেকে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে৷ সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা কমিশনের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, দাবি অনুযায়ী কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্র মুক্ত করা এ এলাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্র সরিয়ে নিলেই কেবল সম্ভব৷ যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই বলে আসছে, কোরীয় উপদ্বীপে তাদের কোনো পরমাণু অস্ত্র নেই৷

প্রধান দাবিটি পূরণের সম্ভাবনা এ মুহূর্তে নেই বললেই চলে, কেননা, জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল আগেই, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে রাজি না হয়ে আণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোয় সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা শুধু কঠোর করা হয়েছে৷ আর এপ্রিল শেষ হলে উপদ্বীপে যৌথ মহড়াও এক বছরের আগে আর হবেনা৷ উত্তর কোরিয়ারও এপ্রিলের পর এক বছর অন্তত হামলার আশঙ্কার কথা বলে আগেই দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা চালানোর হুমকি দেয়ার সুযোগ পাবে কিনা সন্দেহ৷

এসিবি/এসবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য