দুই হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কিনছে ভারত
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০চীনের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই দুই হাজার ২৯০ কোটি টাকার যুদ্ধাস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নিল ভারত। সেনার প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন অস্ত্রের মধ্যে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে স্থল সেনার অ্যাসল্ট রাইফেলের উপর।
ভারত-চীন সীমান্তে এখনো উত্তেজনা তুঙ্গে। সেনা বাহিনীর সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও সমাধানসূত্র মেলেনি। লাদাখে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে দুই দেশই। এই পরিস্থিতির মধ্যেই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কেনার ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় সরকার। দীর্ঘ দিন ধরেই সমরাস্ত্রের আধুনিকীকরণের দাবি জানাচ্ছিল সেনা বাহিনী। সে কথা মাথায় রেখেই এ বার বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কেনার অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র জানিয়েছে।
সেনা সূত্র জানাচ্ছে, অ্যামেরিকার কাছ থেকে প্রায় ৭২ হাজার অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল কিনছে ভারত। মূলত চীন এবং পাকিস্তান সীমান্তে যে সেনারা মোতায়েন আছেন, তাঁদেরকেই এই রাইফেল দেওয়া হবে। এখনও পাকিস্তান এবং চীন সীমান্তের সেনাদের হাতেই সব চেয়ে আধুনিক অস্ত্র আছে। কিন্তু তাঁদের কাছে যে রাইফেল আছে, তা পুরনো হয়ে গিয়েছে বলে বেশ কিছু দিন আগেই সেনা জানিয়েছিল। সে কথা মাথায় রেখেই অত্যাধুনিক রাইফেল কেনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
রাইফেল ছাড়াও স্মার্ট অ্যান্টি এয়ারফিল্ড ওয়েপন সিস্টেম কেনা হবে বলে জানা গিয়েছে। মূলত নৌসেনার হাতে ওই অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে। বায়ুসেনাকেও দেওয়া হবে এই অস্ত্র। ভারতের হাতে এখনও অ্যান্টি এয়ারফিল্ড ওয়েপন আছে। কিন্তু ৯৭০ কোটি টাকা ব্যয় করে যে নতুন অ্যান্টি এয়ারফিল্ড ওয়েপন কেনা হচ্ছে, তা অনেক বেশি শক্তিশালী বলে সেনা সূত্র জানিয়েছে। অ্যাসল্ট রাইফেল কিনতে খরচ হচ্ছে ৭৮০ কোটি টাকা।
২০১৭ সাল থেকেই ভারতীয় স্থল বাহিনীর আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হয়েছে। লাইট মেশিন গান, রাইফেল, কারবাইন বদলানো হচ্ছে। এ বারেও রাইফেলের পাশাপাশি আধুনিক মেশিন গান এবং কারবাইন কেনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে উন্নত রেডিও সেটও কেনা হচ্ছে। সিমলেস ওই রেডিও সেটের ট্রান্সমিশন সীমান্তে বিপক্ষের সেনারা ট্র্যাক করতে পারবে না বলে সেনা সূত্র জানিয়েছে।
পাকিস্তান এবংচীন দুই সীমান্তেই আপাতত উত্তেজনা তৈরি হয়ে আছে। পাক সীমান্তে মাঝে মধ্যেই গোলাগুলি চলছে। যদিও এখনও পর্যন্ত তাতে কারও মৃত্যু হয়নি। লাদাখ সীমান্তে তীব্র উত্তেজনা অব্যাহত। লাদাখে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং সেনা মজুত করা হয়েছে। নতুন অস্ত্র সেনার মনোবল আরও বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)