জার্মানিতে রোজা
১২ আগস্ট ২০১২পেঁয়াজু, বেগুনি, ছোলা, সঙ্গে চিড়ার শরবত৷ বাঙালির ইফতারের এই স্বাদ বিদেশে কোথায় মিলবে? এই সুদূরে, প্রবাস জীবনে তবুও সেই স্বাদের খোঁজ করে বাঙালি৷ তাই যেখানে এই ইফতারের সুযোগ মেলে সেখানেই তারা ছুটে যায়৷ বাঙালি ইফতারের পাশাপাশি নিজ দেশের প্রবাসীদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাতটাও হয়ে যায় একসঙ্গে৷ বন শহরে কয়েকশ বাংলাদেশির বসবাস, যার উল্লেখযোগ্য একটা অংশ শিক্ষার্থী৷ পরিবারের কাছ থেকে দূরে থাকলেও প্রবাসীরা একাট্টা হয়েই রমজান পালন করছে৷
বন শহরের অদূরে ডুইসডর্ফের একটি মসজিদ, নতুনই বলতে হবে৷ তবে এই অঞ্চলের একমাত্র বাঙালি মসজিদ, প্রবাসী বাঙালি ছাত্ররা তাই এর নাম দিয়েছে ‘বাংলা মসজিদ'৷ সেখানেই প্রতিদিন বেশ কিছু বাঙালির আগমন ঘটে৷ সেখানে রয়েছে ইফতারের ব্যবস্থা৷ মাগরিবের আজানের সঙ্গে সঙ্গে সকলে দুধ আর খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙেন৷ তারপর একসঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করেন৷ তারপর একসঙ্গে ইফতার করতে বসেন সকলে৷ ইফতারে রয়েছে নানা পদ, জানালেন মসজিদের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম৷
ইফতার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চলে কথাবার্তা, হাসি ঠাট্টা৷ খাবারের সঙ্গে সঙ্গে যেন নিজ দেশের সেই পুরনো আড্ডার স্বাদ পেতে চায় তারা৷ তাদের সঙ্গে সঙ্গে বাঙালি ইফতারের স্বাদ উপভোগ করেন অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও৷
কেবল বন শহর নয়, আশেপাশের অনেক শহর থেকেও এখানে আসেন অনেক বাঙালি৷ রমজান উপলক্ষ্যে স্বদেশিদের সঙ্গে এই সাক্ষাতের সুযোগ তারা সহজে মিস করতে চান না৷
মসজিদের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানালেন, অনেক বাঙালিই আসেন তাদের এই মসজিদে৷ তবে তাদের মধ্যে ছাত্রদের সংখ্যাই বেশি৷ আর তারা আসলে তিনি বেশি খুশি হন, তাদের জন্য আলাদা করে বিশেষ ইফতারের ব্যবস্থা করে থাকেন৷
দেশ থেকে হাজার মাইল দূরেও থাকলেও প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের অভ্যাস বদলাতে পারেন না৷ আর রমজান মাস যেন তার জন্য আরও বড় সুযোগ এনে দিয়েছে৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ