ধীর গতির ব্যাটিং ডোবালো বাংলাদেশকে
৯ এপ্রিল ২০১১বিশ্বকাপের পর অসি দলের পুরো দায়িত্ব পেয়েছেন মাইকেল ক্লার্ক৷ প্রথম সিরিজেই বাংলাদেশের বিপক্ষে চমৎকার সেঞ্চুরি হাঁকালেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান৷ তাঁর করা ১১১ বলে ১০১ রানের সুবাদে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৭১ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া৷ যদিও শুরুতে রান তোলার গতি দেখে মনে হচ্ছিল সহজেই তিনশ পার করবে ক্লার্কের দল৷ বিশেষ করে সদ্য সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং ও ওপেনার শন ওয়াটসনের মারমুখী ব্যাটিং এ লাইন লেন্থ খুঁজে পাচ্ছিলেন না বাংলাদেশের দুই পেসার৷ বিশ্বকাপ শেষে দলে ফেরা মাশরাফি নয় ওভারে দিয়েছেন ৬৫ রান, অবশ্য দুটি উইকেট নিয়েছেন তিনি৷ অসিদের ইনিংসে শেষ পর্যন্ত লাগাম পরাতে সক্ষম হন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান৷ কোন উইকেট না পেলেও ১০ ওভারে মাত্র ৩৪ রান দিয়েছেন এই বাঁ হাতি স্পিনার৷ ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া করে ২৭০ রান৷
বিশ্বকাপের পর অসিদের বিপক্ষের সিরিজটি বেশ কঠিন বাংলাদেশের জন্য৷ এরপরও নিজ দেশের মাটিতে একটা ভালো ফলাফলের আশা নিয়ে মাঠে নামে সাকিব বাহিনী৷ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচেও উইজডেনের বর্ষসেরা তালিকায় থাকা তামিম ইকবাল ভালো করেছেন৷ দিন দিন বাংলাদেশের ব্যাটিং যেন তামিম সর্বস্ব হয়ে উঠছে৷ মাত্র নয় রানের মধ্যে দুই উইকেট হারানোর পরও ইনিংসটি ধরে রাখেন তামিম৷ ৮৯ বলে ৬২ করে তামিম যখন আউট হন তখন বাংলাদেশের রান ১১৬৷ এরপর সাকিবের ব্যাটে চড়ে লড়ে যায় বাংলাদেশ৷ কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ধীর গতির ব্যাটিং এর কারণে ক্রমেই প্রয়োজনীয় রান রেটের হার বাড়তে থাকে৷ এর মধ্যে হাফ সেঞ্চুরি পুরো করেন সাকিব৷ কিন্তু ১৪৯ রানে ব্যক্তিগত ৫১ রানে তিনি আউট হয়ে গেলে পরাজয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের৷ শেষ দিকে অবশ্য মুশফিক এবং মাহমুদুল্লাহ দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না৷ শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে পাঁচ উইকেটে ২১০ রান৷ ম্যাচের সেরা হয়েছেন অসি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন