1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিজের ঘরে মেয়েদের সম্মান আর নিরাপত্তা দিন

৮ জুন ২০১৬

কেউ যদি নিজের ঘরের মানুষের কাছেই নিরাপদ না থাকে, ঘরের বাইরে নিজেকে নিরাপদ ভাববেন কী করে? এই কথাটাই অনেকে ভুলে যান৷ দেখুন নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে এ বিষয়ে সবার চোখ খুলে দেয়ার মতো একটি ভিডিও৷

https://p.dw.com/p/1J2XT
Deutschland Paradis and Diverse Marwi in Berlin
ছবি: FB/143band

বাড়িতে অতিথি এসেছে৷ ড্রয়িং রুমে বসে গৃহকর্ত্রীর দেখা পাওয়ার অপেক্ষায় তাঁরা৷ কর্তা শোবার ঘরে দিয়ে স্ত্রী-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী হলো তোমার? ওরা যে বসে আছে! আর কত দেরি?'' স্ত্রী তখন রূপচর্চায় ব্যস্ত৷ শুধু রূপচর্চা নয়, আসলে গালে আঘাতের চিহ্ন মেকআপে আড়াল করার চেষ্টায় ব্যস্ত৷ দাগ লুকাতে লুকাতেই হেসে বললেন, ‘‘এই তো এক্ষুণি আসছি৷''

একটু পরে সত্যিই তিনি ড্রয়িংরুমে হাজির৷ শুরু হলো আড্ডা৷ সবাই তখন খুব হাসিখুশি, প্রাণ খোলা৷ হঠাৎ দুই শিশুর কাণ্ডে দুঃখ আর লজ্জায় ছেয়ে যায় মুখগুলো৷

দুই পরিবারের দুই শিশু তখন নিজেদের মধ্যে মজার এক খেলা শুরু করেছে৷ সেই খেলায় ছেলেটি হয়েছে স্বামী আর মেয়েটি স্ত্রী৷ বাবা-মা আনন্দ নিয়েই দেখছিলেন মিছেমিছি বৌ-জামাই সাজার খেলা৷ শিশুদের প্রশ্ন করে মজার মজার উত্তর শুনে হেসে প্রায় গড়িয়ে পড়ছিলেন৷ এক পর্যায়ে ছেলেটি বলতে লাগল,‘‘আমি চাকরি করে অনেক টাকা রোজগার করব৷ অফিসে অনেক কাগজ-পত্র নিয়ে কাজ করবো৷ সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে বৌ-কে বাবার মতো পেটাবো৷ তারপর দড়াম করে দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়বো৷''

ছোট্ট মেয়েটি সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করে ওঠে, ‘‘না না, তুমি শুয়ে পড়ার আগে আমি ভাত দেবো৷ কিন্তু তুমি ভাত না খেয়ে প্লেট ছুড়ে মারবে৷''

শিশুদের মুখে এমন কথা শুনে ফিটফাট, হাসিখুশি বাবা-মায়েদের মুখগুলো দুঃখে, লজ্জায় নুয়ে গেল৷ নিজের স্ত্রী-কে নিরাপত্তা আর সম্মান না দিয়ে সন্তানকেও যে তাঁরা আগামীর অত্যাচারী স্বামী অথবা অত্যাচারিত ঘরনী হিসেবে গড়ে তুলছেন তা তাঁরা বুঝলেন৷

হিন্দিতে তৈরি এই ভিডিও চিত্রটির নাম দেয়া হয়েছে ‘উইমেনস সেফটি বিগিনস অ্যাট হোম৷' সত্যিই তাই, নারী যদি নিজের ঘরেই সম্মান আর নিরাপত্তা না পান, তাহলে ঘরের বাইরে পৃথিবীটাকে তিনি সুন্দর, নিরাপদ ভাববেন কী করে?

এসিবি/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য