পথে নামছে কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে
১৩ ডিসেম্বর ২০১৯নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শনিবার রামলীলা ময়দানে ভারত বাঁচাও জনসভা করছে কংগ্রেস৷ সোমবার রাস্তায় নামছে তৃণমূল৷ সূত্র জানাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাতে চলেছেন৷ তার আগে সপ্তাহান্তে তিনি দলের সাংসদদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন৷ ডিএমকের প্রতিবাদও শুরু হয়ে যাচ্ছে এর মধ্যে৷ সবকটি বাম দল একত্রে আগামী ১৯ তারিখ দেশ জুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে৷ এভাবেই একের পর এক বিরোধী দল নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে জনতার দরবারে যাচ্ছে৷
শনিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে কংগ্রস যে 'ভারত বাঁচাও' জনসভা করতে চলেছে, তাতে তারা নাগরিকত্ব বিল, এনআরসি, ৩৭০ ধারা বাতিল, বেকারত্ব বৃদ্ধির প্রতিবাদ করবে৷ দলের অন্তর্বর্তী সভাপতি হওয়ার পর এটাই হবে সনিয়া গান্ধীর প্রথম বড় জনসভা৷ সে জন্য দেশজুড়ে দলের নেতাদের দিল্লিতে ডাকা হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গের নেতারাও দিল্লিতে এসেছেন৷ আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য সহ একগুচ্ছ নেতাও রামলীলায় থাকবেন৷ লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ''নাগরিকত্ব আইন হল মোদী সরকারের নজর ঘোরানোর আইন৷ যাবতীয় সমস্যা থেকে লোকের নজর ঘোরানোর জন্য এই আইন আনা হয়েছে৷ না হলে ৩১ হাজার লোককে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য প্রশাসনিক নির্দেশই যথেষ্ট ছিল৷ কংগ্রেস সর্বস্তরে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে৷''
বিজেপিও চুপ করে বসে থাকছে না৷ বিজেপি পাল্টা প্রচারে নামবে এই বলে, যে নাগরিকত্ব সংশোধন বিল কোনওভাবেই মুসলিম বিরোধী নয়৷ তিনটি প্রতিবেশী দেশের নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে৷ বিজেপি মুখপাত্র সুদেশ বর্মা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''আমরা অবশ্যই দেশের লোককে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বোঝাব৷ কংগ্রেস সহ বিরোধীদের অপপ্রচারের জবাব দেব৷ লোকের জানা দরকার, মুসলিমরা এই আইনের কারণে বিন্দুমাত্র অসুবিধায় পড়বেন না৷''
এই প্রচার-পাল্টা প্রচার এবং নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিতর্কে বর্ষশেষের রাজনীতি ব্যস্ত থাকবে৷