1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্বীকৃতির লড়াইয়ে আফগান নারী

৫ আগস্ট ২০১৭

ইসলাম নয়, আফগান সংস্কৃতিরই শেকড়ে ঢুকে গেছে নারীর নাম মুছে ফেলার প্রথা৷ সমাজের দ্বিতীয় শ্রেণিতে নারীর অবস্থানের পরিচয় এই প্রথা৷ এমনকি পড়াশোনা ও বিয়ের মতো বিষয়েও নারীদের নেই কোনো বক্তব্য৷

https://p.dw.com/p/2hXoR
Afghanistan - Häuslicher Missbrauch - Scheidung
ছবি: Getty Images/AFP/N. Shirzada

২০০১ সালে অতি-রক্ষণশীল তালিবান উৎখাত হওয়ার পর আফগান নারীরা স্কুলে যাওয়ার, ভোট দেয়ার এবং কাজ করার অধিকার ফিরে পেয়েছেন৷ কিন্তু নারীর ওপর সহিংসতা তাই বলে থেমে থাকেনি, বরং কিছু ক্ষেত্রে বেড়েছে৷ বেশিরভাগ সময়ই এই সহিংসতার কোনো বিচারও হয় না৷

এই অবস্থা পরিবর্তনে #হোয়্যারইজমাইনেম নামে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন কিছু আফগান নারী৷ সব সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা পুরুষদেরই, নারীদের থাকতে হবে প্রায় অদৃশ্য হয়ে – এমন ধারণার পরিবর্তন ঘটাতে কাজ করছে এই ক্যাম্পেইন৷

‘‘কাজের খাতিরে যখনই বাইরে গেছি, অনেক নারীর সাথে আমার কথা হয়েছে চিন্তাভাবনায় যারা অসাধারণ৷ কিন্তু যখনই তাঁদের সাক্ষাৎকার বা ছবি নেয়ার কথা বলেছি, তাঁরা বলতেন, ‘‘আমার স্বামীকে, বাবাকে, বা ভাইয়ের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে'', বলছিলেন কাবুলের নারী ফটোজার্নালিস্ট ফারজানা ওয়াহিদি৷

বাহার সোহাইলি এবং তার বন্ধুরা আছেন এই ক্যাম্পেইনে৷ এমন এক দিনের জন্য তাঁরা কাজ করছেন, যখন নারীকে তাঁর নাম বা পরিচয়ের জন্য লজ্জিত হতে হবে না৷

সোহাইলি বলেন, ‘‘নারীর অধিকার রক্ষায় আইন প্রয়োগে আমরা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাই৷ যখনই আমরা আদালত বা পার্লামেন্টে আমাদের দাবি তুলে ধরতে চাই, তারা ধর্মের কথা বলে আমাদের চুপ করিয়ে দিতে চায়৷''

আফগান আইন অনুসারে শিশুর জন্মসনদে মায়ের নাম থাকে না৷ কাবুল হাইকোর্টের মুখপাত্র আবদুল্লাহ আতাহি থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে জানান, ‘‘আফগান সমাজ এ বিষয়ে পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত নয়৷''

‘‘শিশুর জন্মসনদে বা অন্যান্য কাগজে মায়ের নাম উল্লেখে আমাদের কোনো সমস্যা নেই৷ কিন্তু এই আধুনিক পদক্ষেপের জন্য আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও জনগণ প্রস্তুত নয়৷'' তিনি মনে করেন এই পদক্ষেপ সৃষ্টি করতে পারে ‘অপ্রয়োজনীয় বিশৃংখলার'৷ 

আইনজীবী ও নারী অধিকার কর্মী শাহগুল রেজায়ই বলছেন, অধিকার আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া উচিত৷

তিনি বলেন, ‘‘পার্লামেন্টে কিছু মৌলবাদী শক্তি আছে, যারা চায় না নারীরা এই অধিকার পাক৷ কিন্তু আমরা নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে আইনের সংস্কার ও নতুন আইন প্রণয়নের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি৷''

এডিকে/ডিজি (রয়টার্স)

বন্ধু, প্রতিবেদনটি কেমন লাগলো? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান