1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় পর্বের ভোটেও অশান্তি, সহিংসতা

১ এপ্রিল ২০২১

পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের ভোটেও অশান্তি। বিজেপি প্রার্থী ও সংবাদমাধ্যম আক্রান্ত। এক তৃণমূল কর্মী খুন। নন্দীগ্রামে বিজেপি ছাপ্পা ভোট দিযেছে বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর।

https://p.dw.com/p/3rTFZ
পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের ভোটেও অশান্তি ও সহিংসতা হলো। ছবি: Prabhakarmani Tewari/DW

দ্বিতীয় পর্বের ভোটে সকলের নজর ছিল নন্দীগ্রামে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর মহারণের উপর। নন্দীগ্রামে বিক্ষিপ্ত হিসার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু দ্বিতীয় পর্বে সব চেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে। সেখানে সকাল থেকেই উত্তেজনা বাড়ছিল। দুপুরে বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি আক্রান্ত হয়। লোহার রড, বাঁশ, লাঠি নিয়ে তার কনভয়ের সব গাড়ি আক্রমণ করা হয়। তিনি গাড়ি থেকে নেমে পালান। দীর্ঘক্ষণ তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে কেশপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।  প্রার্থীর গাড়ির চালক পালাতে গিয়ে একটি মাটির বাড়ির মধ্যে গাড়ি ঢুকিয়ে দেন। সংবাদমাধ্যমের গাড়িও আক্রান্ত হয়। এবিপি আনন্দের গাড়ির সব কাচ ভেঙে দেয়া হয়। চালক আহত।

কেশপুরেই তৃণমূল অফিস থেকে এক কর্মীকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। অভিযোগ বিজেপি-র বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রামে এক বিজেপি কর্মীর দেহ ঝুলতে দেখা যায়। পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূলের হুমকির চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

আবার চণ্ডীপুরে তৃণমূল প্রার্থী সোহম চক্রবর্তীর গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। গাড়ির সামনের ও পাশের কাচ ভেঙে গেছে। এখানে বিজেপি কর্মীরা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ।

দ্বিতীয় পর্বের ভোটে প্রধান নজর ছিল নন্দীগ্রামের উপর। সেখানে দুইটি গ্রামে সারা রাত ধরে বোমাবাজি হয়েছে। কয়েকটি গ্রামে ভোট শুরু হওয়ার পরেও বোমাবাজি হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। তার গাড়িতেও ইট মারা হয়। তবে শুভেন্দু বলেছেন, বিক্ষোভ তার গা সওয়া হয়ে গেছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনিতে ভোটের দিন সচরাচর বাড়ি থেকে বের হন না। নন্দীগ্রামেও দুপুর পর্যন্ত তিনি বেরোননি। কিন্তু দুপুরের পর তিনি বুথে বুথে ঘুরতে শুরু করেন। রীতি মেনে বাড়ি বসে থাকতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। রেয়াপাড়ার একটি বুথে তৃণমূলের এজেন্ট ঢুকতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ। মমতা সেখানে যান। তাঁকে ধরে গ্রামবাসীরা বলেন, তাদের ভোট দিতে দেয়া হয়নি। অবাধে বিজেপি ছাপ্পা ভোট দিয়েছে। সিআরপিএফকে জানিয়েও ফল হয়নি। সেই বুথে তৃণমূল এজেন্ট দিতে পারেনি বলে অভিযোগ। পুলিশ তৃণমূলের এজেন্টের বাড়িতে আনতে গেলে তার মা জানিয়ে দেন, তিনি ভয় পেয়েছেন। ছেলেকে পাঠাবেন না।

মুখ্যমন্ত্রী ওই বুথে যান। বাইরে তখন তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী দীর্ঘক্ষণ বাইরে আসতে পারেননি। মুখ্যমন্ত্রী সোজা রাজ্যপালকে ফোন করেন। তিনি ঘটনার কথাৈ জানিয়ে বলেন, কীভাবে বাইরের মানুষকে এনে ছাপ্পা ভোট দেয়া হয়েছে। প্রচুর পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও ঝামেলা চলতে থাকে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি আদালতে নালিশ করবেন।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)