1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোশাক প্রস্তুতকারকরা কম অর্ডার পাচ্ছেন

৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১

করোনার প্রভাব যাচাই করতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সম্প্রতি ৫০টি কারখানার উপর জরিপ করে৷ তারা জানিয়েছে, সাধারণ সময়ের চেয়ে এবার তারা ৩০ শতাংশ অর্ডার কম পেয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3p5h5
বাংলাদেশের একটি পোশাক কারখানা
ছবি: Reuters/A. Biraj

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ক্রিসমাসের আগে লকডাউন শুরু হয়৷ এখনো অনেক দেশে লকডাউন চলছে৷ করোনার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের রিটেলাররাও তাদের সব পোশাক বিক্রি করতে পারেনি৷

ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং ফার্ম ‘ম্যাকেঞ্জি’ জানিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বে অবিক্রিত পোশাকের মূল্য প্রায় ১৪০ থেকে ১৬০ বিলিয়ন ইউরো - যা স্বাভাবিক সময়ের প্রায় দ্বিগুন৷

সামনে করোনা পরিস্থিতি কেমন হয় সেই আশঙ্কায় ইউরোপ, অ্যামেরিকার ক্রেতারা পোশাকের অর্ডার কমিয়ে দিয়েছেন৷ নতুন অর্ডার দেয়ার আগে রিটেলাররা তাদের সংগ্রহে থাকা পোশাকগুলোর যতটা সম্ভব বিক্রির চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে টেক্সটাইল রিসাইক্লিং ফার্ম ‘পার্কার লেন গ্রুপ’৷ সংস্থার প্রধান নির্বাহী রাফি কাসারদিয়ান জানান, স্বাভাবিক সময়ে তারা প্রতিমাসে ১৫ লাখ অবিক্রিত পোশাক প্রক্রিয়াজাত করতেন৷ সেখানে জানুয়ারিতে তারা করেছেন ৪০ লাখের বেশি- যা একটি রেকর্ড৷

ব্রিটেনের মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার ও জার্মানির হুগো বস জানিয়েছে, তারা বসন্ত কালেকশনের জন্য এবার কম পোশাক অর্ডার দিয়েছে৷

ইউরোপ-অ্যামেরিকার এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের পোশাকখাতে প্রভাব ফেলছে৷ ঢাকার এক কারখানার মালিক শহিদুল্লাহ আজিম রয়টার্সকে জানান, ‘‘সাধারণত তিন মাস আগে অর্ডার চলে আসে৷ কিন্তু এবার এখনও মার্চের জন্য কোনো অর্ডার নেই৷'' উত্তর অ্যামেরিকা ও ইউরোপের রিটেলারদের জন্য পোশাক তৈরি করে তার কারখানা৷ আজিম বলেন, ‘‘আমরা ধারণক্ষমতার ২৫ শতাংশ ব্যবহার করছি৷ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলার মতো অর্ডার আমার কাছে আছে৷ তারপর কী হবে, আমি জানিনা৷ কীভাবে বাঁচবো বলা কঠিন৷’’

এশিয়ার ছয়টি দেশের পোশাক প্রস্তুতকারকদের সংগঠন ‘স্টার নেটওয়ার্ক’এর প্রতিনিধি মিরান আলি৷ বাংলাদেশে চারটি কারখানার মালিক তিনি৷ তিনিও আজিমের মতো সমস্যায় আছেন৷ ‘‘এই সময়ে কমপক্ষে মার্চ পর্যন্ত অর্ডার থাকার কথা৷ শরৎ/শীতের জন্যও কিছু অর্ডার ইতিমধ্যে চলে আসার কথা৷ কিন্তু এক্ষেত্রে এবার ধীরগতি দেখা যাচ্ছে৷ ব্র্যান্ডগুলো মাত্র কয়েকজনের কাছ থেকে পোশাক নিচ্ছে,’’ রয়টার্সকে জানান মিরান৷

আসিফ আশরাফ নামের আরেকজন কারখানা-মালিক বলছেন, এই পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেয়া কষ্টকর৷ ‘‘আমরা কাপড় তৈরি করে সেলাই করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছি, এমন সময় তারা অর্ডার স্থগিত রাখার কথা বলেন,’’ বলে জানান আশরাফ৷

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স)