প্রমীলা বিশ্বকাপে নজর রাখুন ছয়জনের দিকে
১৯ জুন ২০১১মার্টা
ব্রাজিলের ফুটবল তারকা মার্টা৷ পুরুষদের ফুটবলে লিওনেল মেসি কিংবা ডেভিড ব্যাকহাম যেমনটা জনপ্রিয়, তেমনি প্রমীলা আসরে জনপ্রিয় মার্টা৷ পুরো নাম মার্টা ভিয়েরা ডা সিলভা৷ ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ অবধি টানা পাঁচবার বিশ্বের সেরা প্রমীলা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি৷ মার্টার উচ্চতা মাত্র পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি, তবে মাঠে দুর্দান্ত গতি আর প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ ভেদের নানা কৌশল -- তাঁর খেলাকে এক আলাদা উচ্চতায় নিয়ে গেছে৷ ব্রাজিলের কোচ ক্লাইটন লিমা তাই যথার্থই বলেছেন, পুরুষের ফুটবলে পেলের যেমন গুরুত্ব, প্রমীলা ফুটবলে মার্টা তেমনই গুরুত্বপূর্ণ৷
বিরগিট প্রিন্স
২০০৩ এবং ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ জয়ী জার্মান দলের তারকা বিরগিট প্রিন্স৷ বিশ্বকাপের প্রমীলা আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি৷ মোট ১৪টি গোল করেছেন জার্মান দলের এই অধিনায়ক৷ এবারই শেষ বিশ্বকাপ তাঁর৷ আশা স্বাগতিকদেরকে টানা তৃতীয়বার বিশ্বকাপ এনে দেবেন৷ বিশ্বকাপ ছাড়াও বিরগিটের উপস্থিতিতে পাঁচবার ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ানশীপ জয় করেছে জার্মান দল৷ এই তারকা ২০০৩ থেকে ২০০৫ অবধি টানা তিনবার বিশ্বের সেরা ফুটবলার খেতাব জয় করেন৷
এমি রডরিগেজ
১৯৯৯ সালের পর বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ আর পায়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে এমি রডরিগেজসহ এক নবীন মার্কিন দল এবার অংশ নেবে বিশ্বকাপে৷ ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে এমি চমক দেখান৷ আক্রমণভাগের এই তারকা সেই আসরে চারটি খেলায় অংশে নেয়, গোল্ড মেডেল জয় করে যুক্তরাষ্ট্র৷ এছাড়া গত বছর অক্টোবরে গুয়াতেমালার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন এমি৷ বিপজ্জনক আক্রমণকারী হিসেবে বেশ সুনাম রয়েছে তাঁর৷
এবেরি অরজি
এবেরি অরজি'র বয়স মাত্র আঠারো বছর৷ এই বয়সেই নাইজেরিয়া দলের অন্যতম ভরসা তিনি৷ ২০১০ সালের অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে জার্মানির বিপক্ষে দুই গোল করেন অরজি৷ জার্মানিতে সেই খেলায় অবশ্য হার মানে তাঁর দল৷ তবে এবার অরজি'র প্রত্যয়, আবারো জার্মানিতে ফিরেছি আমরা, এই আসরে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আরেকটি ফাইনাল ম্যাচ৷
মানা ইওয়াবুচি
মানা ইওয়াবুচিকে জাপানের ভবিষ্যত তারকা হিসেবে মনে করা হচ্ছে৷ সেদলের বর্তমান অধিনায়ক হোমারি সাওয়ার উত্তরসূরি হবেন মানা, এমনটাই গুঞ্জন৷ ইতিমধ্যে তাঁর সাফল্যের খাতায় যোগ হয়েছে ২০১০ সালের পূর্ব এশিয়া প্রমীলা চ্যাম্পিয়ানশীপ৷ ২০০৯ সালের অনুর্ধ্ব প্রমীলা এশিয়া কাপও জয় করে মানা'র দল৷
কিয়া সিমন
অস্ট্রেলিয়ার কিয়া সিমন ২০১০ সালের এশিয়া প্রমীলা বিশ্বকাপে সাড়া জাগান৷ তবে এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ-ডি'তে অসিদের প্রতিপক্ষ নরওয়ে এবং ব্রাজিল৷ তাই নিজেদের সাধ্যের চেয়ে বেশি কিছু দেখাতে না পারলে এই আয়োজনে বড় কোন চমক দেখাতে পারবে না অস্ট্রেলিয়া৷ তবে অস্ট্রেলিয়ার কোচ টম সিরমানি স্বপ্ন দেখছেন সিমনকে নিয়ে৷ খেলার কঠিন সময়ে ঠান্ডা মাথায় গোল করতে সক্ষম সিমন৷ তাই তাঁকে সঙ্গে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া হয়ত চমক দেখাবে৷ বলে রাখি, অস্ট্রেলিয়ায় সদ্য সমাপ্ত ঘরোয়া আসরে সিমন সিডনি'র পক্ষে গোল করেছেন ১২টি৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: জাহিদুল হক