প্রয়াত সোভিয়েতের শেষ প্রেসিডেন্ট গর্বাচভ
৩১ আগস্ট ২০২২সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচভের জীবনাবসান। ৯১ বছর বয়সে মস্কোর সেন্ট্রাল ক্লিনিক্যাল হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তার। বয়সজনিত অসুখে বেশ কিছুদিন ধরে ভুগছিলেন তিনি। কিডনির সমস্যাও ছিল। মঙ্গলবার মৃত্যু হয় তার। তবে তার মৃত্যু সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
গর্বাচভের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন এবং জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস। ক্রেমলিনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পুটিন গর্বাচভের পরিবারের প্রতি শোকপ্রকাশ করেছেন। বুধবার তিনি একটি টেলিগ্রামও করতে পারেন। সোভিয়েত ইউনিয়নে পুটিন ছিলেন কেজিবি এজেন্ট। তার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট গর্বাচভের সম্পর্ক অবশ্য অস্পষ্ট। পুটিন কখনোই তা প্রকাশ করেননি।
জাতিসংঘের প্রধান তার শোকপ্রস্তাবে লিখেছেন, ''বিশ্বে শান্তি ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন গর্বাচভ। ঠান্ডা যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে তিনি ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন।''
গর্বাচভের আমলেই সোভিয়েতের পতন হয়। যা নিয়ে ইতিহাস যেমন তার গুণগান করেছে আবার একাংশ তার তীব্র নিন্দা করেছে। বস্তুত, তার হাত ধরেই কমিউনিস্ট বিশ্বের মহীরুহ পতন হয়। আবার তার হাত ধরেই ঠান্ডাযুদ্ধের অবসান ঘটে। বার্লিনের দেওয়াল ভাঙার সময় যাতে কমিউনিস্ট বিশ্বে কোনো প্রতিক্রিয়া না ঘটে, তার দায়িত্ব নিয়েছিলেন গর্বাচভ। এখনো ইতিহাস মনে রেখেছে ব্রান্ডেনবুর্গ গেটে রোনাল্ড রেগনের সেই বিখ্যাত বক্তৃতা, ''মিস্টার গর্বাচভ এই গেট খুলে দিন, ভেঙে ফেলুন পাঁচিল।'' বস্তুত, এর ঠিক দুইবছর পর বার্লিন পাঁচিল ভেঙে ফেলা হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন, গর্বাচভ ছিলেন আস্থাভাজন এবং সম্মাননীয় ব্যক্তি। তার জন্যই লৌহ-যবনিকার পতন সম্ভব হয়েছিল। ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁও বলেছেন, গর্বাচভ ইউরোপের ইতিহাস বদলে দিতে পেরেছিলেন। ইতিহাস সে কারণেই তাকে মনে রাখবে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স)