তোপের মুখে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ
২০ এপ্রিল ২০২১ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফানতিনো বলেছেন, সুপারকাপে যোগ দিলে ক্লাবগুলোকে ভয়াবহ ‘পরিণতির' জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে৷ সুইজারল্যান্ডে আয়োজিত উয়েফার সভায় তিনি বলেন, ‘‘খেলাধুলায় ইউরোপীয় ধারাকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব৷ সুতরাং কেউ যদি নিজের পছন্দে অন্য পথে যেতে চায়, তার পরিণাম তাকে ভোগ করতে হবে৷''
এর আগে ইউরোপের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা ইংলিশ, স্প্যানিশ ও ইটালিয়ান ও ফুটবল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, সুপার লিগের বিরুদ্ধে তারা সব ধরনের লড়াই চালিয়ে যাবে৷ বিবৃতিতে বলা হয়, সুপার লিগে যোগ দেয়া ক্লাবগুলিকে ঘরোয়া, ইউরোপীয় ও বৈশ্বিক সব প্রতিযোগিতায় নিষিদ্ধ করা হবে৷ পাশাপাশি সেই ক্লাবগুলোর খেলোয়াড়দের দেশের হয়ে খেলার সুযোগ কেড়ে নেয়া হতে পারে বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে৷
রোববার ইউরোপের ১২টি ক্লাব এক বিবৃতির মাধ্যমে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ শুরুর উদ্যোগের কথা জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, ওই ১২টি ক্লাব প্রস্তাবিত এই লিগে যোগ দেবে।
ঘোষণা অনুযায়ী, সুপার লিগে রয়েছে স্পেনের রেয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও আটলেটিকো মাদ্রিদ, ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল, আর্সেনাল, চেলসি ও টটেনহ্যাম হটস্পার এবং ইটালির ইউভেন্তুস, এসি মিলান ও ইন্টার মিলান।
জার্মানি আর ফ্রান্সের কোনো ক্লাবের নাম না থাকলেও ১২টি ক্লাবের সঙ্গে আরো তিনটি ক্লাব শিগগিরই যোগ দেবে বলে সুপার লিগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে৷
ওই তিনটিসহ ১৫টি ক্লাবের সঙ্গে প্রতি বছর কোয়ালিফাই করে আসা পাঁচটি ক্লাব মিলিয়ে মোট ২০টি ক্লাবকে নিয়ে হবে এই টুর্নামেন্ট৷
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০টি ক্লাবকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হবে৷ দুই গ্রুপের দলগুলো প্রথমে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেলবে। তারপর প্রতি গ্রুপের শীর্ষ তিন দল উঠে যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। এভাবে ছয়টি দল শেষ আটের প্রথম ছয়টি স্থানে উঠে যাওয়ার পর গ্রুপে চতুর্থ ও পঞ্চম হওয়া ক্লাবের প্লে অফ খেলবে৷ প্লে অফ থেকে উঠে আসবে শেষ আটের বাকি দুটি দল।
টুর্নামেন্টে অংশ নিলে মোটা অংকের টাকা পাবে ক্লাবগুলো৷ পুরো আয়োজনের অর্থের জোগান দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের জেপি মর্গান ব্যাংক।সুপার লিগের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠাতা ক্লাবকে ৩৫০ কোটি ইউরো করে দেবে তারা।
এসিবি/ কেএম (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)