ফুটবল বিশ্বকাপ পেতে রাজপুত্রের বিয়ের নিমন্ত্রণ!
৫ মে ২০১১দক্ষিণ অ্যামেরিকার ফুটবল ফেডারেশন কনমেবলের সভাপতি হলেন প্যারাগুয়ের নিকোলাস লিওজ৷ তিনিই শুনিয়েছেন ঐ আশ্চর্য কাহিনী৷ তারিখটা পয়লা ডিসেম্বর, ২০১০৷ লিওজ তখন সুইজারল্যান্ডের জুরিখে৷ তার পরদিনই ২০১৮'র বিশ্বকাপ কোথায় যাবে, তাই নিয়ে ভোট৷ অর্থাৎ ভোটের আগের দিন প্রাতরাশে তাঁর প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে মোলাকাত হয়, কেননা উইলিয়াম ইংল্যান্ডের ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট৷ রাজপুত্র লিওজ'কে ঘুষ দেননি, দিয়েছেন নিজের বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র, এই হল লিওজের ইতিবৃত্ত৷
প্রিন্স উইলিয়ামের মুখপাত্র প্যাডি হার্ভারসন বলেছেন, ফিফার কাউকেই তাদের ভোটের পরিবর্তে বিয়ের নিমন্ত্রণের প্রস্তাব দেওয়া হয়নি৷ হার্ভারসন স্বীকার করেন যে, উইলিয়াম যখন ইংল্যান্ডের ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ পাওয়ার ব্যাপারে লবিং, মানে প্রচারণা করছেন, তখন রাজপুত্রের আসন্ন বিবাহ নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা হয়েছে বৈকি৷ তবে কোনো নিমন্ত্রণপত্র বিলি করা হয়নি৷ তাহলে প্রশ্ন ওঠে, লিওজ কি তাহলে নিমন্ত্রণের কথাটা নিজেই বানিয়ে প্যারাগুয়ের গণমাধ্যমে ছড়িয়েছেন? এমনকি তিনি এ'ও বলেছেন যে, তিনি গত শুক্রবারের রাজকীয় বিবাহ অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পারেননি কেননা স্বদেশে তাঁর নিজের শহর আসুনসিয়নে কনমেবলের একটা সম্মেলন ছিল৷
তবে পুরো ব্যাপারটাই যে একটা ঠাট্টা হতে পারে, তার প্রমাণ: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এর আগে নিজেই বলেছেন যে তিনি যখন লিওজের সঙ্গে প্রিন্স উইলিয়ামের সাক্ষাৎ কেমন হল, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন, তখন উইলিয়াম বলেছিলেন, ‘‘খুব, খুবই ভালো হয়েছে৷''
ক্যামেরন বললেন: ‘‘কি করে ম্যানেজ করলেন? কি দেবার প্রস্তাব দিলেন? বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র নাকি?''
উইলিয়ামের উত্তর ছিল: ‘‘প্রধানমন্ত্রী, আমি এ্যাতোদূর এগিয়ে গিয়েছিলাম যে আমি বোধহয় ওনাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিই!''
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম