ফেলানী মামলার আপিল
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ডা. দীপু মনি বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তে ফেলানী হত্যা মামলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর আদালত যে রায় দিয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভারতের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে৷ আদালতের চূড়ান্ত রায়ে যদি ন্যায়বিচার পাওয়া না যায়, তাহলে অবশ্যই আপিল করা হবে বলে জানান তিনি৷ তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত রায়ের যে খবর পাওয়া গেছে, তাতে ন্যায়বিচার পাওয়া যায়নি৷
মানবাধিকার নেত্রী অ্যাডভোকেট এলিনা খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, সরকার যদি সক্রিয় হয় তাহলে ফেলানী হত্যা মামলায় ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব৷ এ জন্য পররাষ্ট্র এবং স্বরাষ্ট্র – এই দুই মন্ত্রণালয়কে একযোগে কাজ করতে হবে৷ তারা সক্রিয় হলে ভারতের মানবাধিকার সংগঠনগুলোও সহায়তা করবে৷ এমনকি এই বিচার ভারতের প্রচলিত আদালতেও নেয়া সম্ভব৷ তিনি বলেন, এ জন্য বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলোও সরকারকে সহায়তা করতে প্রস্তুত৷ তাঁর মতে, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণ আদায়ও সম্ভব৷
এলিনা খান জানান, ১০ বছর আগে বাংলাদেশি নারী হনুফা বেগম পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া স্টেশনে গণধর্ষনের শিকার হয়েছিলেন৷ সেই মামলার বিচার ভারতের আদালতেই হয়েছে৷ বাংলাদেশ ও ভারতের মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ জন্য একযোগে কাজ করেছে৷ তাই ধর্ষণের জন্য যারা অভিযুক্ত হয়েছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনা গেছে৷ হনুফা ১০ লাখ ভারতীয় টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন৷ আর দায়ীদের ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে৷ তিনি বলেন, ফেলানী হত্যা মামলায় বিএসএফ সদস্য কনেস্টবল অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দিয়েছে বিএসএফ-এর বিশেষ আদালত৷ এখানে আইনের ফাঁক-ফোকর এবং ভাষার সমস্যাকে ব্যবহার করা হয়েছে৷
এদিকে ফেলানীর পরিবারের সদস্যরা এই হত্যা মামলার পুনর্বিচারের দাবিতে কুড়িগ্রামে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বৃহস্পতিবার৷ ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে ন্যায় বিচারের সঙ্গে ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন৷
২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত হয়৷