ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
২১ মার্চ ২০১৭নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, জার্মানি – ইউরোপের তিনটি দেশে এ বছরের নির্বাচন বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ কোন দল বা প্রার্থীর জয় হলো, সেটা বড় বিষয় নয় – বরং চরম দক্ষিণপন্থি, ‘পপুলিস্ট' শিবির কতটা জনসমর্থন আদায় করতে পারে, সে দিকেই সবার নজর৷ ব্রেক্সিট ও ট্রাম্পের নির্বাচনের পর নেদারল্যান্ডস-এর ভোটাররা খেয়ার্ট ভিল্ডার্সের জয় থামাতে পেরেছেন৷
এবার ফ্রান্সের পালা৷ জাতীয় ফ্রন্ট-এর নেত্রী মারিন ল্য পেন যাতে আগামী প্রেসিডেন্ট না হতে পারেন, বাকি প্রার্থীরা সেই চেষ্টাই করছেন৷ সোমবার সন্ধ্যায় প্রার্থীদের প্রথম টেলিভিশন বিতর্কে তারই লক্ষণ দেখা গেল৷ জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী প্রায় ৪০ শতাংশ ভোটার এখনো মনস্থির করতে পারেননি৷ তাই তাদের মন জয় করার চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা৷
মারিন ল্য পেনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় আশা এমানুয়েল মাক্রোঁ৷ অথচ তিনি দুই বড় দলের প্রার্থীই নন৷ সমাজতান্ত্রিক দলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদের প্রশাসনে তিনি অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন বটে, কিন্তু এর আগে সরাসরি ভোটে দাঁড়াননি৷ তিনি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলির ব্যর্থতার নজির তুলে দেশের বর্তমান সমস্যাগুলির সমাধানে নতুন দাওয়াই প্রয়োগ করতে চান৷ প্রতিদ্বন্দ্বী ল্য পেন-এর ইসলাম ও ইউরোপ-বিদ্বেষের তুমুল সমালোচনা করেন মাক্রোঁ৷ ল্য পেন-এর অভিযোগ, মাক্রোঁ বিভিন্ন বিষয়ে নানা মন্তব্য করলেও কোনো বিষয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্তের কথা বলেন না৷
দেশের দুই প্রধান দলের প্রার্থীদের অবস্থা বড়ই করুণ৷ রক্ষণশীল দলের প্রার্থী ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ফ্রঁসোয়া ফিয়ঁ দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগে জর্জরিত৷ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও চলছে৷ অন্যদিকে সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী বেনোয়া আমঁ বড়ই দুর্বল অবস্থানে রয়েছেন৷ সোমবারের বিতর্কের পর জনমত সমীক্ষায় তালিকার শেষে স্থান পেয়েছেন৷ তবে বামপন্থি প্রার্থী জঁ-লুক মেলাঁশঁ দ্বিতীয় স্থান দখল করে ফিয়ঁ ও ল্য পেনকে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছেন৷
আগামী ২৩ এপ্রিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে সব প্রার্থীরা আসরে নামবেন৷ তার দু'সপ্তাহ পর তালিকার শীর্ষের দুই প্রার্থীর মধ্যে সরাসরি লড়াই হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটে৷
এসবি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)