1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বর্ণবাদী মন্তব্য করায় লিভারপুলের সুয়ারেজ’এর ওপর নিষেধাজ্ঞা

২১ ডিসেম্বর ২০১১

বর্ণবাদী কটূক্তির কারণে লিভারপুলের স্ট্রাইকার লুইস সুয়োরেজকে আটটি খেলা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ এর পাশাপাশি তাকে ৬২ হাজার ডলার জরিমানাও দিতে হবে৷

https://p.dw.com/p/13Wy3
লুইস সুয়োরেজছবি: DW

ঘটনাটা গত অক্টোবর মাসের৷ প্রিমিয়ার লিগের খেলা চলছে লিভারপুল আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মধ্যে৷ মাঠে এক পর্যায়ে লিভারপুলের লুইস সুয়ারেজ ম্যানচেস্টারের প্যাট্রিস এভরাকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করেন৷

অভিযোগ আনা হয় সুয়ারেজের বিরুদ্ধে৷ শুরু থেকেই সুয়ারেজ অবশ্য অস্বীকার করে আসছেন৷ তবে তাতে কোন সুবিধা হয়নি৷ ব্রিটিশ ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন বেশ স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছে যে, বর্ণ বৈষম্যের কোন স্থান ইংলিশ ফুটবলে নেই ৷ এর প্রতিকারে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷

উরুগুয়ের ফুটবলার সুয়ারেজ অন্তত দশবার বর্ণবাদী উক্তি করেন প্যাট্রিস এভরাকে উদ্দেশ্য করে – এই অভিযোগ আনেন এভরা৷ এভরা ফরাসি এবং কৃষ্ণাঙ্গ৷ ১৫ই অক্টোবরের ঘটনার পর তদন্ত শুরু হয়৷ ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের ইন্ডিপেন্ডেন্ট রেগুলেটরি কমিশন তদন্ত চালায়৷ এবং তারা সুয়ারেজকে দোষী সাব্যস্ত করে৷ তারা আরো জানিয়েছে, সুয়ারেজের ওপর নজর রাখা হবে ভবিষ্যতে তার আচরণের ওপর দৃষ্টি থাকবে এ্যাসোসিয়েশনের৷

শাস্তি হিসেবে সুয়ারেজকে আটটি খেলা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে অর্থাৎ লিভারপুলের আগামী আটটি খেলায় সুয়ারেজকে দেখা যাবে না৷ এবং এর পাশাপাশি ৪০ হাজার পাউন্ড অর্থাৎ ৬২ হাজার আটশো ডলারের জরিমানা করা হয়েছে৷ তবে এই শাস্তিদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন সুয়ারেজ৷

দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর টুইটারে সুয়ারেজ লিখেছেন, ‘‘আজ আমার জন্য এবং আমার পরিবারের জন্য খুবই বেদনাদায়ক একটি দিন৷ আমাকে সমর্থন করার জন্য এবং আমার পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ৷''

লিভারপুলের ম্যানেজার কেনি ড্যালগ্লিশ জানান,‘‘কমিশনের রায়ে আমরা মর্মাহত৷ সুয়ারেজকে সমর্থন করা আমাদের কর্তব্য, এই অবস্থায় তাঁর পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন৷''

অক্টোবর মাসের সেই খেলায় মাঠে সুয়ারেজ এবং এভরার বাকযুদ্ধ মাঠের অনেকেই শোনেন৷ অন্য খেলোয়াড়সহ মাঠে উপস্থিত কর্মকর্তারাও তা দেখেন৷ একটি কর্নার কিককে কেন্দ্র করে দুই খেলোয়াড় উত্তেজিত হয়ে ওঠেন৷

প্যাট্রিস এভরা সেদিনই অভিযোগ আনেন৷ তবে সবকিছু তৈরি করতে এবং শুনানি সম্পন্ন করতে প্রায় দুই মাস সময় লেগে যায়৷ সেদিনের খেলার রেফারি আন্দ্রে মারিন্যারকেও এভরা বিষয়টি জানান৷ মারিন্যার তা ম্যাচ রিপোর্টেও উল্লেখ করেন৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক