1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে ডিএনএ-র ব্যবহার

জাহিদুল হক২৬ জুলাই ২০১৪

পৃথিবীর সবচেয়ে পরিচিত অণু ডিএনএ৷ কারণ স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবেশ থেকে শুরু করে বিজ্ঞানের অনেক ক্ষেত্রেই ডিএনএ-র ব্যবহার রয়েছে৷ কিন্তু বাংলাদেশে ডিএনএ-কে কতটা কাজে লাগানো হচ্ছে?

https://p.dw.com/p/1Cikv
Feuer in Tazreen Fabrik November 2012
ফাইল ফটোছবি: picture-alliance/AP

এ বিষয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের তিন তরুণ শিক্ষক আদনান মান্নান, মুশতাক ইবনে আয়ুব এবং এস এম মাহবুবুর রশিদ একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন৷ প্রায় আট মাস আগে সেটি প্রিয় ডটকম'এ প্রকাশিত হয়

ডিএনএ-কে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন দেশ কী ভাবে লাভবান হচ্ছে তার কয়েকটা উদাহরণ তুলে ধরে লেখকবৃন্দ বলেন, ‘‘বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এখনো খুব আশাব্যঞ্জক চিত্র আঁকা যাবে না৷ যদিও সময় একেবারেই চলে যায়নি৷ তবে খুব বেশিদিন অপেক্ষারও সুযোগ নেই৷''

প্রবন্ধে তাঁরা পাট ও ছত্রাকের জীবনরহস্য উন্মোচনে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন৷ পাশাপাশি কয়েকটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন এই তরুণ শিক্ষকরা৷ যেমন চিংড়ি রপ্তানির ক্ষেত্রে৷ বাংলাদেশ প্রতি বছর চিংড়ি রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে৷ তবে মাঝেমধ্যে রপ্তানি করা চিংড়ি বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়৷ কারণ মাছে ক্ষতিকর ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি৷ এ ক্ষেত্রে একটি ডিএনএ ল্যাবরেটরি স্থাপন করে রপ্তানির আগেই চিংড়ির মান পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে৷ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীবপ্রযুক্তি বিষয়ে পাস করা শিক্ষার্থীরাই এ ধরনের পরীক্ষা চালাতে সক্ষম বলে জানান ঐ শিক্ষকরা৷

তাঁরা বলেন, ফোর্বস ম্যাগাজিনের জরিপে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে জীবপ্রযুক্তি বিষয়ক চাকরিই সবচেয়ে আকর্ষণীয়৷ বিশেষ করে ওষুধ কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা বাড়াতে জীবপ্রযুক্তিকে অন্যতম প্রধান অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছে৷ অথচ বাংলাদেশে এখনো এ বিষয়ে তেমন সচেতনতা গড়ে ওঠেনি৷ তাই বাংলাদেশের প্রায় সব প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ে জীবপ্রযুক্তি বিষয়ক বিভাগ থাকলেও সেখান থেকে প্রতিবছর পাস করা পাঁচ শতাধিক স্নাতক দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে কিংবা দেশের ভেতর অন্য পেশায় নিয়োজিত হচ্ছে৷

ফরেনসিক ল্যাব

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ‘ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি-র (এনএফডিপিএল) যাত্রা শুরু ২০০৬ সালে৷ এই ল্যাবে বিডিআর বিদ্রোহ সহ অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছে৷ সাম্প্রতিক সময়ে রানা প্লাজা ধসে নিহত অনেকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে৷ এছাড়া ২০১২ সালের নভেম্বরে ঢাকার আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় আগুনে নিহত কয়েকজনের পরিচয়ও শনাক্ত করে এই ল্যাব৷

নতুন আইন

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম'এ ২৩ জুন প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, অপরাধী চিহ্নিত, পিতৃত্ব-মাতৃত্ব নিরূপণ কিংবা মৃতদেহ শনাক্ত করার মতো কাজে ডিএনএ পরীক্ষা ও সংরক্ষণে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে৷ এতে ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি স্থাপন ও জাতীয় ডাটাবেস প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়েছে৷

ডিএনএ নমুনা ধ্বংস, পরিবর্তন, দূষিত বা জাল করা হলে; কারো দায়িত্বে অবহেলার কারণে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা না গেলে বা নমুনা নষ্ট হলেও বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য