বাড়ছে সাগরের পানি, আতঙ্কে সলোমন দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দারা
সলোমন আইল্যান্ডসের লাউ লাগুন নামের উপহ্রদটির বাসিন্দাদের যুগ যুগ ধরে সাগরের সঙ্গে বসবাস৷ কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সেই সাগরই এখন তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
কোথায় ডাঙা, কোথায় পানি...
লাউ লাগুনের মানুষের তৈরি দ্বীপগুলি পানির উপর টাপুর মতো ভেসে থাকে৷ কিছু কিছু দ্বীপ মাঝে মাঝে আজকাল পুরোপুরি ভেসে যায়৷ ওদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাড় ও বাতাস, দুইই বেড়েছে৷
খুঁটোর ওপর বাড়ি
সাগরের পানি বাড়ছে, কাজেই উপহ্রদের বাসিন্দারা তাদের বাড়িগুলোকে রণ-পা পরিয়ে শিকেয় তুলছেন৷ এভাবে যতটুকু ওপরে ওঠা যায়...
ডিঙি ছাড়া উপায় নেই
দ্বীপগুলোর সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের মুখ্য সংযোগ হলো এই প্লাস্টিকের পাল তোলা ডিঙিগুলো৷ সলোমন দ্বীপপুঞ্জের মানুষরা খুব কমবয়সে এই ডিঙি চালাতে শেখেন – না শিখে উপায়ই বা কী!
ঝড়জল
লাগুনে বাস করা মানে প্রকৃতির রোষে মাথা গুঁজে থাকা৷ আজকাল আবার শুকনো মৌসুমেও হঠাৎ ঝড-বৃষ্টি হতে পারে৷
দিন বদলাচ্ছে
টাউবাল দ্বীপের আয়েনাবাওলো উপজাতির মোড়ল ৫২ বছর বয়সি জন কাইয়া৷ তিনি বলেন, তাঁর নিজের জীবনেই জলবায়ু ও তাঁর উপজাতির মানুষদের জীবনে নাটকীয় পরিবর্তন দেখেছেন তিনি৷
যা গেছে তা যাক
সাগরের বান এসে বসতিটা তছনছ করে দিয়ে গেছে৷ বাসিন্দারা ভাবছেন, নতুন করে বানিয়ে লাভ নেই৷ প্রকৃতির ধ্বংসলীলা আসে যখন-তখন, বিনা নোটিশে৷ সব কিছু ভেঙে দিয়ে যায়৷ সারাবে কে?
সময়ের সাথে পাল্লা
সাগরের পানি বেড়ে চলেছে৷ দেউড়ির ঘরটায় পৌঁছানোর একমাত্র পথ এখন একটা লম্বা সাঁকো, যা বারবার মেরামত করতে হয়৷
পানিকে উৎসর্গ
এই দেউড়ির ঘরটির আশা ত্যাগ করেছেন বাসিন্দারা৷ এককালে যা বসতবাড়ির অংশ ছিল, আজ সেখানে পাখিরা বসে মাছ ধরে৷
স্বর্গদ্বীপের স্বপ্ন
মানুষ মানুষই; তাই আজও উপহ্রদের পানিতে নতুন দ্বীপ তৈরির প্রচেষ্টা চলছে, যদিও সেই দ্বীপ বাসযোগ্য হতে বহুদিন চলে যাবে৷
বিদায়
লাউ লাগুনের দ্বীপগুলি যদি পরিত্যক্ত হয়, তাহলে সেই সঙ্গে দ্বীপবাসীদের বহু প্রজন্মের জীবনধারাও লোপ পাবে৷ সেটা তাদের নিজের দোষে নয়, বরং বহু দূরের শিল্পোন্নত দেশগুলি এই মাটির পৃথিবীর যে ক্ষতি করছে, তার ফলশ্রুতি হিসেবে৷