1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বোরো ধান উৎপাদন ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা

২২ মার্চ ২০১২

বাংলাদেশে বোরো ধান চাষের ক্ষেত্রে, পানি সেচ নিয়ে চরম বিপাকে আছেন কৃষকরা৷ কারণ, পানি সেচের জন্য ঠিকমত বিদ্যুৎ পাওয়া যায়না৷ এর ওপর সরকার বিদ্যুতের দাম আরো একদফা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/14Oar
ছবি: AP

বোরো ধান চাষের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন সেচের প্রয়োজন৷ চারা লাগানো থেকে শুরু করে ফসল কাটা পর্যন্ত চলে এই সেচ৷ আর এখন ফসলের মাঠে বোরা ধানের চারা৷ শিষ আসেনি৷ কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পারবে আগামী মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে৷ কিন্তু তারা ঠিকমত বিদ্যুৎ না পাওয়ায়, বোরো ধানের মাঠে ঠিকমত সেচ দিতে পারছে না৷

স্বাভাবিকভাবেই সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে৷ প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, এই সমস্যা তাদেরও জানা৷ এজন্য সরকার এই সেচের জন্য রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ নিশ্চিত করবে, যাতে বোরো ধানের উৎপাদন ব্যাহত না হয়৷ এজন্য শহরাঞ্চল এবং শিল্প কারখানায় বিদ্যুৎ কিছুটা হলেও রেশনিং করা হবে৷ অর্থাৎ, শহরাঞ্চলে এবং শিল্প কারখানায় বিদ্যুৎ কম দেয়া হবে৷ আর বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধ রাখা হবে৷ যা আজ থেকেই কার্যকর হচ্ছে, জানান তিনি৷

Reisfeld Bangladesch
চরম বিপাকে আছেন কৃষকরাছবি: DW/Swapan

তবে সেচের জন্য শুধুমাত্র নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের নিশ্চয়তায় আশ্বস্ত নন অর্থনীতিবিদরা৷ বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস-এর পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. আসাদুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে জানান, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার তাতে বোরো ধানের উৎপাদন ব্যহত হবে৷ কারণ পানি সেচ বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল৷ তাই উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে৷ অনেক কৃষকই অতিরিক্ত দামের কারণে পর্যাপ্ত সেচ দিতে পারবে না৷ এ কারণে খাদ্য নিরপত্তা বিঘ্নিত হওয়ারও আশঙ্কা করছেন তিনি৷

অর্থনীতিবিদ ড. আসাদুজ্জামান বলেন, সরকার যদি এখন বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে মে মাসের শেষের দিকে দাম বাড়াতো, তাহলে কৃষকরা এহেন সংকটে পড়তো না৷ কারণ ততক্ষণে বোরো ধান উঠে যেত৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য