ভারতের বর্তমান লোকসংখ্যা ১২১ কোটি
৩১ মার্চ ২০১১আজ নতুনদিল্লিতে জনগণনার প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেন সেন্সাস কমিশনার সি. চন্দ্রমৌলি৷
২০১১ সালের নতুন আদমশুমারি রিপোর্ট অনুসারে ভারতের জনসংখ্যা গত দশ বছরে বেড়েছে ১৮ কোটির বেশি, যা গত ৯০ বছরের তুলনায় কম৷ এই নিয়ে ভারতের বর্তমান মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২১ কোটি৷ এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৬২ কোটি ৩৭ লাখ আর মহিলার সংখ্যা ৫৮ কোটি ৬৫ লাখ৷ ভারতের জনসংখ্যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, জাপান ও বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় সমান৷ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৭.৫%৷ চীন এখনো সবথেকে জনবহুল৷ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৯.৪% মানুষের বাস চীনে৷ ভারতের সবথেকে জনবহুল রাজ্য হলো উত্তরপ্রদেশ৷ লোকসংখ্যা ২০ কোটি৷ আর সবথেকে কম লোকসংখ্যা কেন্দ্রশাসিত লাক্ষাদ্বীপে৷ লোকসংখ্যা মাত্র সাড়ে ৬৪ হাজার৷
ভারতে স্ত্রী-পুরুষের আনুপাতিক হারে পুরুষের সংখ্যা মহিলাদের চেয়ে বেশি৷ প্রতি এক হাজার পুরুষ পিছু মহিলা সংখ্যা – ৯১৪ স্বাধীনতার পর এই ব্যবধান সবচেয়ে বেশি৷ আজ নতুন দিল্লিতে ২০১১ সালের আদম আদমশুমারির প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করে সেন্সাস কমিশনার সি.চন্দ্রমৌলি বলেন, এটা উদ্বেগের বিষয়৷ উল্লেখ্য, ভারতের কিছু কিছু রাজ্যে কন্যাভ্রুণ হত্যার হার বেশি৷ কন্যাকে আর্থিক বোঝা বলে মনে করা হয়৷
পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে সাক্ষরতার হার ঊর্ধ্বমুখ৷ সাক্ষরতার হার ৭৪ শতাংশ – ২০০১ সালে যেটা ছিল ৬৫ শতাংশের মত৷ নিরক্ষরতার হার ২৬ শতাংশ৷ সাক্ষরতার দিক থেকে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে৷ কেরালায় সাক্ষরতার হার সবথেকে বেশি – ৯৪ শতাংশ, তারপর লাক্ষাদ্বীপ – ৯২ শতাংশ৷ সাক্ষরতার হার সবথেকে কম বিহারে – ৬৩ শতাংশ৷
জনগণনার কাজ শুরু হয় গত বছর৷ ২৫ লাখ কর্মী ৬৩ হাজার গ্রাম ও ৬ হাজার শহরের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনগণনা ছাড়াও বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন, যেমন টয়লেট, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট এবং কে কী ধরণের বাড়িতে থাকে ইত্যাদি৷ ১৫ বছরের বেশি বয়সের প্রত্যেকের ফটো ও আঙুলের ছাপ নিয়ে ডেটাবেস তৈরি করা হচ্ছে, যার ভিত্তিতে দেয়া হবে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন কার্ড৷ এই কার্ড ভারতের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে৷
সমস্যাটা কিন্তু অন্য জায়গায়৷ যে-সব রাজ্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে, তারা কেন্দ্রের কাছ থেকে বাজেটের টাকা কম পাবে৷ কারণ বাজেট বরাদ্দ করা হয় জনসংখ্যার ভিত্তিতে৷ শুধু তাই নয়, জাতীয় সংসদে তাদের সাংসদ সংখ্যাও কমতে পারে৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন