1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত থেকে অনুপ্রবেশকারীরা ‘বাংলাদেশি’

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
২৩ নভেম্বর ২০১৯

গত এক মাসে বাংলাদেশের ঝিনাহদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ২২৫ জনকে আটক করেছে বিজিবি৷ শনিবার আটক করা হয়েছে ২২ জনকে৷

https://p.dw.com/p/3TaVS
Bildergalerie Myanmar Rohingya Flüchtlinge flüchten nach Bangladesch
প্রতীকী ছবিছবি: Reuters/M. Ponir Hossain

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল আলম ডয়চে ভেলেকে বলেছেন তদন্তে দেখা গেছে তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার নাগরিক৷ তারা পাসপোর্ট ছাড়াই ভারতে কাজের জন্য গিয়েছিল৷ এখন সেখানে কড়াকড়ি হওয়ায় তারা আবার ফিরে এসেছেন৷ তাদের সবার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে মামলা হয়েছে৷

ওসি বলেন, ‘‘আজ (শনিবার) যে ২২ জনকে বিজিবি আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে, তাদের মধ্যে বাগেরহাটের শরণখোলার আছে ১৫ জন, নড়াইলের আছে পাঁচজন এবং দুইজন আছে আমাদের মহেশপুরের৷ এই দুইজন ভারত থেকে বাকিদের নিয়ে আসেন৷''

তিনি বলেন, ‘‘তাদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে৷ তারা বিভিন্ন সময় ভারতে গেছেন৷ ব্যাঙ্গালুরুর বাসাবাড়িতে কাজ করতেন, কাগজ টোকাতেন৷''

রাশেদুল আলম

তিনি বলেন, ‘‘বিজিবি শনিবারের আগে এক মাসে ২০৩ জনকে আটকের কথা বললেও থানায় হস্তান্তর করেছে ১৮৪ জনকে৷ তাদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে মামলা করা হয়৷ তারা এরইমধ্যে আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন৷'' তিনি বলেন, ‘‘এরাও বাংলাদেশের নাগরিক৷ কিন্তু তারা পাসপোর্ট ছাড়াই ভারতে গিয়ে আবার ফিরে এসেছেন৷ তারা বাগেরহাট, খুলনা এবং পিরোজপুরের বাসিন্দা৷ কয়েক বছর আগে কাজের জন্য ব্যাঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন৷

তিনি বলেন, ‘‘তাদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি বাগেরহাটের শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জ এলাকার কিছু লোক ব্যাঙ্গালুরুতে থাকেন বহুদিন ধরে৷ আগে তারা দিল্লি থাকতেন৷ তারা বাংলাদেশে নিয়মিত আসা যাওয়া করেন৷ তাদের মাধ্যমেই এরা ছয় মাস থেকে দুই বছর আগে ব্যাঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন৷ তাদের সবার বাংলাদেশের ভোটার আইডি কার্ড আছে৷ তারা বাংলাদেশের নাগরিক৷''

যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে প্রায় সমান সংখ্যক নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে৷

এদিকে এই ‘অনুপ্রবেশে'র ঘটনায় বিজিবি মহেশপুর সীমান্তে টহল বাড়িয়েছে৷ বাড়ানো হয়েছে সতর্কতাও৷ মহেশপুরের সাথে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ২০-২৫ কিলোমিটার সীমান্ত আছে৷ বিজিবি জানায়, তারা মহেশপুরের খোলাসপুর, পালিয়ানপুর ও মাটিলা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করছে৷ সংলগ্ন এলাকার সাধারণ মানুষকেও সতর্ক করা হয়েছে৷ কেউ ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করলেই বিজিবিকে খবর দিতে বলা হয়েছে৷

সেলিম রেজা

স্থানীয় কাজিরবেড় ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বলেন, ‘‘ভারতে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা এই এলাকা থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে সেই আশঙ্কায় দুই বছর আগে থেকেই আমাদের সতর্ক করা হয়৷ তখন থেকেই স্থানীয় লোকজন বিজিবিকে সহায়তা করছে৷ অনুপ্রবেশের ঘটনা স্থানীয় কারো চোখে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে ফোনে বিজিবিকে জাননো হয়৷ এবারও আমরা সতর্ক রয়েছি৷''

খালিশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল আহসান এর আগে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘‘মাইগ্রেশন করে যারা ভারতে গিয়েছিলেন তাদের সেখানে বসবাসে অসুবিধা হচ্ছে৷ এনআরসি আতঙ্কসহ নানাভাবে চাপের মধ্যে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন৷ বিশেষ করে ব্যাঙ্গালুরু এলাকায় এই সমস্যা বেশি হচ্ছে৷ যে কারণে তারা ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছেন৷ তারা এক সময় বাংলাদেশে ছিলেন বলে দাবি করছেন৷''

শনিবার তাদের মিডিয়া উইং থেকে ল্যান্স নায়েক মোমিন বলেন, ‘‘আমরা সীমান্তে কড়াকড়ি ও সতর্কতা বাড়িয়েছি৷ শনিবারও ২২ জনকে আটক করা হয়েছে৷ তারা ভারত থেকে আসছে৷ আটকের পর তাদের নাগরিকত্ব যাচাই করা হচ্ছে৷ বাংলাদেশে যারাই অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করবে তাদেরই আটক করা হবে৷''

উল্লেখ্য, গত আগস্টে ভারতে নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের পর সেখানে বাংলাভাষী অনেকেই চাপের মুখে আছেন৷  ২২ নভেম্বর বেনাপোল সীমান্ত দিয়েও বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ৫৪ জন নারী ও পুরুষকে আটক করা হয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান